শক্তিরএর প্রভাবে

চরফ্যাশনে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, উপকূলজুড়ে আতঙ্ক

শিপু ফরাজী।।

ভোলার চরফ্যাশনের উপকূলীয় চরাঞ্চলের বুধবার রাত থেকেই ঘূর্ণিঝড় শক্তিএর প্রভাবে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাতাসে অসংখ্য গাছ পালা ও শতাধিক ঘর বাড়ি ভেঙ্গে পরেছে রাস্তার উপর । মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীও উত্তাল হয়ে উঠেছে।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সতর্কমূলক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় শক্তি’ এর প্রভাবে চরফ্যাশনের উপক‚লীয় বিভিন্ন চরাঞ্চলের নিম্মাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-৩ ফুটের বেশি উচ্চতার জলচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু জাগায়।

উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচরের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে ঢালচরের প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

মাছ ব্যবসায়ী মো মাহবুবুর রহমান বলেন, উপকূলীয় চরাঞ্চলের মানুষ সব সময়ই বিভিন্ন ঝড়-জলচ্ছাসের ভেতরই বেঁচে আছেন।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় শক্তির এর প্রভাবের কারণে সাগর ও নদ-নদী অনেকটাই উত্তাল। তবে বিচ্ছিন্ন এ চরাঞ্চলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো প্রচার-প্রচারণা দেখা যায়নি। তাই ঘূর্ণিঝড় শক্তির এর বিষয়ে এখানকার মানুষ এখনও অজানা।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় শক্তির এর প্রভাবে বিষয় উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে সতর্কতা সংকেত দেওয়ায় বিষয় তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি।

তিনি বলেন, বুধবার বিকাল থেকেই এখানে বৃষ্টি হচ্ছে। নদ-নদীর পানিও কিছুটা উত্তাল। এব্যাপারে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রস্তুতি কমিটিকে জরুরি সভার আহ্বান করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিন্দেশ দেওয়াহয়েছে। উপকূলীয় এলাকার মাছধরা ট্রলারসহ সকল নৌযানকে সাগরে না গিয়ে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ ভোলার ট্রাফিক কর্মকর্তা বলেন, ঘূর্ণিঝড় শক্তিরএর প্রভাবের কারণে সাগরে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেওয়া হয়েছে। তাই বিআইডাবিøউটিএ ৬৫ ফুটের নিচে সব ধরনের যান চলাচলের ওপর নিধেধাজ্ঞা জারি করেছে।

সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে, বেড়েছে ভোগান্তি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে চরফ্যাশন উপজেলা সকাল থেকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এছাড়া জেলার মেঘনা-তেতুলিয়া নদীতে জোয়ারের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতা দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে চরফ্যাশন উপজেলা জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয। কখনো মুষলধারে আবার কখনো থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা বর্ষনে শহরের বেশ কযকেটি এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হযেেছ। জরুরীপ্রযোজন ছাড়া ঘর থেকে বেরোচ্ছেন না অনেকেই। জীবিকার তাগিদে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়েছেন রিক্সা ও অটোচালকরা। তবে শহরে মানুষের উপস্থিতি কম হওযায যাত্রী পাচ্ছেন না তারা। এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঘর থেকে বের হতে না পেরে বেশি বিপাকে পরেছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। শহরের অধিকাংশ দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেননি ব্যবসাযীরা। এদিকে জোয়ারের সময় মেঘনা- তেতুলিয়াসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের অনেক চেয়ে বেশি উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আতঙ্কের মধ্যে রযেেছন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।

 

এই বিভাগের আরো খবর