ভারতকে হারিয়ে প্রথম শিরোপা ঘরে তুললো শ্রীলঙ্কার নারীরা 

খেলাধুলা ডেস্ক:

২০০৪ সালে নারী এশিয়া কাপ শুরুর পর পাঁচবার ফাইনাল খেলেছে শ্রীলঙ্কা। তবে ধরি ধরি করেও ধরা হচ্ছিলো না কাঙ্খিত শিরোপা। তবে ষষ্ঠবারের মতো লঙ্কান নারীরা ফাইনালে নেমে আর হাতছাড়া হতে দেননি সেই অভিষ্ট লক্ষ্য। চামারি আতাপাত্তুর নেতৃত্বে ঘরের মাঠে সাতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে একপেশেভাবে হারিয়ে প্রথম শিরোপা ঘরে তুললো শ্রীলঙ্কা।

 

রোববার ডাম্বুলায় নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে আট উইকেট হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।

 

ডাম্বুলাতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ভারত ১৬৫ রান সংগ্রহ করে। স্মৃতি মান্দানার হাফ সেঞ্চুরি ও মিডলঅর্ডারে রুদ্রিগেজ-রিচা ঘোষের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে এই পুঁজি পায় হারমানপ্রিত করের দল। টে-টোয়েন্টিতে যা চ্যালেঞ্জিং স্কোর বলা চলে। এই রান সংগ্রহ করতে তাদের খরচ হয় ছয়টি উইকেট।

 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় লঙ্কান নারীরা। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ভিষ্মি গুনারত্নে (১)। স্কোর বোর্ডে তখন রান সাত।

 

কিন্তু সেখান থেকে ফাইনাল ম্যাচটি একপেশে করে ফেলেন অধিনায়ক আতাপাত্তু ও সামারাবিক্রমা। আতাপাত্তু ৪৩ বলে ৯টি বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ৬১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে কাসিভা দিলহারিকে (৩০) নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন সামারাবিক্রমা (৬৯)। ম্যাচ সেরাও হন তিনি। আর প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ নির্বাচিত হন লঙ্কান কাপ্তান চামিরা আতাপাত্তু।

 

 

এক প্রতিক্রিয়ায় চামিরা বলেন, আমি দলের পারফরম্যান্স, বিশেষ করে ব্যাটিং নিয়ে খুশি। হর্ষিতা এবং দিলহারিকে বিশেষ ধন্যবাদ। এটা ওয়ান ম্যান শো নয়, কোচিং স্টাফ দুর্দান্ত এবং অবশেষে আমরা এশিয়া কাপ জিতেছি। শ্রীলঙ্কার জনতাকে বিশেষ ধন্যবাদ, তারা আমাদের মেয়েদের সমর্থন করেছে এবং আমি সত্যিই খুশি।

 

তিনি বলেন, এই জয়টা সত্যিই আমাদের দলের জন্য ভালো, ভবিষ্যতে মেয়েদের অনুপ্রাণিত করতে হবে, তাই শ্রীলঙ্কার জন্য এটা বিশেষ। আমরা ড্রেসিংরুমে সবসময় ইতিবাচক কথা বলি, কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফরাও বলেন তাদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 

ভারতীয় কাপ্তান হারমানপ্রীত বলেন, আমরা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ভালো ক্রিকেট খেলেছি এবং নিঃসন্দেহে আমরা আজ অনেক ফাম্বল করেছি। আমরা পাওয়ারপ্লেতে সাফল্য খুঁজছিলাম কিন্তু এটি পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি।শ্রীলঙ্কা সত্যিই ভালো ব্যাটিং করেছে। আসন্ন বিশ্বকাপে আমরা কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি করতে চাই, আমরা অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করব এবং এই দিনটিকে মনে রাখবো।

এই বিভাগের আরো খবর