চরফ্যাশন প্রতিনিধি:
চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানাদিন নীলকমল ইউনিয়ন, কাশেম মিয়ার বাজার থেকে ঘোষের হাট লঞ্চঘাট পর্যন্ত, নদী ভাঙন পশ্চিমে তেতুলিয়া নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বাংলা বাজার বেড়িবাঁধ ও বিভিন্ন স্থানে ভাঙন পরিদর্শন করেছেন সাবেক এমপি নাজিমউদ্দীন আলম ,চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির নেতীবৃন্দ । গত মঙ্গলবার (৯ জুন) তেতুলিয়া নদী ও বাংলা বাজার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান তিনি। স্থানীয়রা ভাঙনের কবলে পড়ে তাদের দুন্দশার বর্ণনা দেন।
পরিদর্শনে সাথে ছিলেন চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সিনিযর সহ সভাপতি আমিরুল ইসলাম মিন্টিজ, চরফ্যাশন উপজেলার যুবদলের সাবেক সভাপতি আশরাফুর রহমান দিপু ফরাজি, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মীর আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম দুলাল ,পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন সিকদার ।
স্থানীয়রা জানান, তেতুলিয়া নদী ও বাংলা (কাশেম মিয়ার) বাজার থেকে ঘোষের হাট লঞ্চঘাট পর্যন্ত বিশাল এলাকা আজ তেতুলিয়া নদীর ভাঙনের মুখে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে একের পর এক বসতবাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তা এবং বাজার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবন-জীবিকা, নিরাপত্তা, শিক্ষা, চিকিৎসা সবকিছু আজ হুমকির মুখে।এ অবস্থায় স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন নিজ চেষ্টায় ভাঙন রোধ । সে বছর দুইয়েক আগে কথা। তখন ব্যক্তিগত উদ্যোগে তেতুলিয়া ু নদীর বিশাল এলাকাজুড়ে বেড়িবাঁধ সংস্কার করে অসংখ্য মানুষের বসত বাড়ি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাজার রক্ষা করেন। কিন্তু সম্প্রতি সেই বেড়িবাঁধের নীচের মাটি সরে গেছে।তারা জানান, বেড়িবাঁধের কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে ধস। এ অবস্থায় বর্ষা মৌসুমে বেড়িবাঁধ ধসে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে। তাই স্থানীয়দের জোর দারি বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতের। ভাঙনরোধে দ্রæত উদ্যোগ নেওয়ার। তা না হলে অনেকেই পূর্বপুরুষের ভিটা-বাড়ি হারিয়ে গৃহহারা হয়ে পড়বেন বলেও জানান পরিদর্শনে আসা সাবেক এমপি নাজিমউদ্দীন আলম ,চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির নেতীবৃন্দদের। নাজিমউদ্দীন আলম এ সময় বলেন, তেতুলিয়া নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে না যদি অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে বালি তোলা বন্ধ না হয়। এজন্য এলাকাবাসীর সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। কারণ বাইরের কেউ এসে এখানে বালি তোলেন না। যে বা যারা তুলছে তারা নিশ্চয় স্থানীয়। সুতরাং বাইরের কারো পক্ষে তাদের প্রতিরোধ করাও অসম্ভব। তাই এগিয়ে আসতে হবে স্থানীয়দের। তাদের প্রতিহত করা গেলে ভাঙনের ব্যাপকতা কমবে। রক্ষা পাবে বাপ-দাদার ভিটামাটি। কাজ করা যাবে ভাঙনরোধে; এবং তা হবে টেকসই। না হয় ভাঙনরোধে কাজ করা আর না করা একই কথা। এসব অসাধু বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে প্রতিহত করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন এমপি নাজিমউদ্দীন আলম ।
তিনি আরও বলেন, ইদুল আজাহার এই ব্যস্ততার মাঝেও চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানাদিন নীলকমল ইউনিয়ন ভাইদের নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা রক্ষা করার জন্য আমি হঠাৎ এই এলাকা পরিদর্শনে এসেছি। এসে দেখে গেলাম ভাঙনের প্রকৃত অবস্থা। যা আমাদের করণীয় নির্ধারণে সহায়ক হবে। তিনি ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাথে কথা বলে টেকসই ও বাস্তবসম্মত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন স্থানীয়দের।
আগের পোএ্ট
পরে পোষ্ট
এই বিভাগের আরো খবর