আফজাল হোসেন লাভলু।।
বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০% নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, এই রূপান্তরের ক্ষেত্রে ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং আরএমজি কর্মীদের অধিকার ও জীবিকা নিশ্চিত করা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল হলিডে ইন, ঢাকা সিটি সেন্টারে,অক্সফাম বাংলাদেশর সহযোগিতায় সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস) আরএমজি শিল্পের জন্য ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর (জেইটি) বিষয়ক এই সংলাপের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ইস্টিটিউট অফ লেবার স্টাডিজ (বিআইএলএস) এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ট্রানজেশন এর ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি রয়েছে, তবে অংশীজনের মতামত ও তাদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই তা করা হবে।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর। সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন,
ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস এর প্রধান জ্বালানি বিশ্লেষক, শফিকুল আলম।
পোশাক শিল্পে ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) নির্বাহী পরিচালক মোঃ সামসুদ্দোহা।
প্রকৌশলী সংসদ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসমা জাহান হক প্রমুখ।
স্বাগতম বক্তব্য ও সভা পরিচালনা করেন, এসআরএস, নির্বাহী পরিচালক, সেকেন্দার আলী মীনা ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহমুদুল হাসান।
অনুষ্ঠানে সরকারি সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়ন, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, উন্নয়ন অংশীদার এবং সুশীল সমাজ সংগঠনের প্রায় ৪০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের সর্বমোট গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমণের ১৫.৪ শতাংশ অবদান রাখে তৈরি পোশাক শিল্প খাত। ইউএনএফসিসিসি (UNFCCC) চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে তার বর্তমান শ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমণের তুলনায় ১৫-২০ শতাংশ নির্গমণ কমাতে চুক্তিবদ্ধ। অন্যথায় চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের শিল্প কল-কারখানাগুলো অত্যধিক কার্বন নির্গমণ এবং পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানি রূপান্তরে ব্যর্থতার ফলস্বরূপ তাদের বৈদেশিক বাণিজ্য বাধাপ্রাপ্ত হবে। এজন্য প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধ, নির্বিঘ্ন বাণিজ্য, এবং বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানির সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আরএমজি বা তৈরি পোশাক কর্মীদের অধিকার ও জীবিকা নিশ্চিত করেই তা রূপান্তর করতে হবে।