নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন

সেলিম সানোয়ার পলাশ, রাজশাহী:

‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে রিরসন’ এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে নানা আয়োজনে রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়।

রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর রাজশাহীর উদ্যোগে রাজশাহীর সপুরস্থ মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। অতিথি, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও নারী নেত্রীদের সমন্বয়ে র‌্যালি বের কওে সপুড়ার বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শাহানা আখতার জাহান এর সভাপতিত্বে

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসন-৩৭ এর সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- মহিলা বিষয়ক অধিদফতর রাজশাহীর উপ-পরিচালক শবনম শিরিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড ডিবি) সামসুন নাহার, জাতীয় মহিলা সংস্থা রাজশাহীর চেয়ারম্যান বেগম মর্জিনা পারভীন, জেলা তথ্য

অফিস রাজশাহীর উপ-পরিচালক নাফেয়ালা নাসরিন ও ব্র্যাক এর জোনাল ম্যানেজার

সুফিয়া বেগম। এছাড়াও বিভিন্ন সরকালী-বেসরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন মহিলা সমিতির সভানেত্রী ও সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত নারী নেতৃবৃন্দ নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলেন। তারা বলেন, এখনো নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে।

যাত্রাপথে, চাকুরী স্থলে হেনস্তার স্বীকার হচ্ছে। বর্তমান সরকার নারীদের উন্নয়নে কাজ করলেও পুরষতান্ত্রিক এই সমাজে পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি না

বদলালে কোনভাবেই নারীদের অধিকার সম্পূর্নভাবে পাওয়া সম্ভব নয় বলে জানান তারা।

এদিকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের উন্নয়নে চাকুরীসহ সকল ক্ষেত্রে অধিকার রক্ষায় কাজ করছেন। যানবাহনে নারীদের জন্য ঢাকায় আলাদা বসার ব্যবস্থা এবং আলাদা যানবাহনের এর ব্যবস্থা করেছেন। এখণ পর্যায়ক্রমে সব জেলাতেই এটা করা দরাকর। তিনি আরো বলেন, গার্মেন্টস

সেক্টরে আশি শতাংশ নারী কাজ করছে। শিক্ষক থেকে শুরু করে আইন শৃংখলাবাহিনী, বেসরকারী উন্নয়ন সেক্টরে এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে

সুনামের সাথে কাজ করছেন। কারো অধিকার কেউ দেয়না উল্লেখ করে তিনি বলেন, অধিকার আদায় করে নিতে হয়। আর এই অধিকার আদায়ে নিজেদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন তিনি।

বক্তব্য শেষে নারী উদ্যেক্ত্যতা হিসেব সফল হওয়ায় এবং নারীর অগ্রযাত্রায় সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য তিনি জন নারী- মনিরা বেগম, আলেয়া খাতুন এবং রুনা বেগমকে আর্থিক সহায়তা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান হয়।

এই বিভাগের আরো খবর