বিশেষ প্রতিনিধি:
পিআইবি জার্নালিজম অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (পিবজা)র উদ্যোগে শনিবার সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট রুহী শামসাদ আরা এর উপস্থিতিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ক জনসচেতনতা সৃষ্টিতে পথ সভা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
সভায় ‘পিবজা’র সহসভাপতি অধ্যক্ষ এম এ মোনায়েম, ম. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, ড. দীপু সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী দানিয়েল মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ মোঃ বশিরুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম রবি, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জাবেদ আহমেদ, নির্বাহী সদস্য এ আর এম মামুন, সদস্য খাইরুল আলম, প্রিন্সিপাল আশরাফুল ইসলাম, শেলি আক্তার, ফাতেমা বেগম বক্তব্য রাখেন।
পথ সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গুর পিক সিজন হলো অগাস্ট থেকে অক্টোবর । ২০২২ সালে দেশে এ সময় মোট ৬২,০৯৮ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল এবং মারা গিয়েছিল ২৮১ জন। পত্র-পত্রিকার হিসাব মতে, চলতি বছরের এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছে ৩৬৫ জন। বিগত ২২ বছরের মধ্যে এ বছর সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। বাংলাদেশে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালে আটটি বিভাগের ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং বরিশালে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে শিশুরা। অথচ ঢাকা শিশু হাসপাতালে শিশুদের জন্য মাত্র ৬৮১টি শয্যা রয়েছে। তাহলে উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য আক্রান্ত অন্য শিশুরা যাবে কোথায়? গোদের ওপর বিষফোড়া হয়ে দেখা দিয়েছে চিকিৎসা খরচ। সুযোগ বুঝে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী পরীক্ষার সরঞ্জামাদির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসার খরচের মধ্যে প্রায় অনেক ফাঁরাক। সরকারি হাসপাতালে অ্যাপারেসিস প্লাটিলেট নিতে খরচ হয় ১৫০০-২০০০ টাকা; সেখানে বেসরকারি হাপসাতাল নেয় ২৫ হাজার-২৮ হাজার টাকা। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুর সাধারণ খরচ যেখানে ২০-২৫ হাজার টাকা, সেখানে প্রাইভেট হাসপাতালে খরচ পড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। এ সকল সমস্যা উত্তরণে পিবজা একটি জনকল্যাণমুখী সংগঠন হিসাবে সবাইকে আরো সচেতন, আরো সুচ্ছার হওয়ার প্রয়োজনে “পিবজা” ডেঙ্গু সচেতনতায় সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। উত্তাপিত দাবিগুলো ছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশনের মাঝে ডেঙ্গু বিষয়ক সমন্বয় সাধন, দেশে কীট তত্ত্ববিদের সংখ্যা বৃদ্ধি, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালের ডাক্তারদের ডেঙ্গু বিষয়ে প্রশিক্ষিত করা, হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে তদারকি জোরদার করা, এবং বাড়ী, অফিস, আদালতের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার গণ সচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ায় প্রচার-প্রচারণা জোরদার করা। সভা শেষে সংগঠনের সদস্যগণডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতায় জনসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।