মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয় ২০ মােটরসাইকেলসহ আসবাপত্র।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের মনােনিত প্রার্থী আমজাদ হােসেন ও মনােনয়ন বঞ্চিত জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ব্যাপক পুলিশ মােতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, সােমবার সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে সাবেক এমপি আমজাদ হােসেনকে দলীয় মনােনয়ন ঘােষণা করা হয়। এর পর থেকে মনােনয়ন বঞ্চিত জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন সমর্থিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে আসছিল। মনােনয়ন বাতিলের দাবিতে পরেরদিন মঙ্গলবার সকালে জাভেদ মাসুদ মিল্টন সমর্থকরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন।
এসময় দলীয় মনােনিত প্রার্থী আমজাদ হােসেনের সমর্থিত নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে জাভেদ মাসুদ মিল্টনের লােকজন তাদের ধাওয়া করে। পরে আমজাদ হােসেনের দলীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর করা হয় । এসময় বেশ কিছু মােটরসাইকেল ভাঙচুর করে। সেই আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয় । এক পর্যায়ে আমজাদ হােসেন সমর্থিত নেতাকর্মীরা জাভেদ মাসুদ মিল্টন এর রাজনৈতিক কার্যালয় ভাঙচুর করে। পরে দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দফায় দফায় সংঘর্ষে আমজাদ হােসেনের সমর্থনকারী ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
অন্যপক্ষের জাভেদ মাসুদ মিল্টন সমর্থিত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক দল অবস্থান করছে। সেনাবাহিনীর টহল জােরদার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের মনােনিত প্রার্থী আমজাদ হােসেন জানান,জাভেদ মাসুদ মিল্টনের লােকজন আমাকে হামলা করতে গিয়েছিল। আমি কােন ভাবে হামলার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল জানান, পরিস্থিতি বর্তমান শান্ত রয়েছে। পুলিশ মােতায়েন করা হয়েছে।