সময়ের চিত্র ডেস্ক:
টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই–আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা তিনটি পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আজ (বুধবার) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
বুধবার সকাল ৭টার কিছু পর রাজধানীর পুরাতন হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত ট্রাইব্যুনালে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সবুজ রঙের প্রিজনভ্যানে করে আনা হয় কর্মকর্তাদের। পরে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুনানি শেষে একই ভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
সকাল ৮টার পর থেকে তিনটি মামলার শুনানি শুরু হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনাল–১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, তিনটি মামলায় মোট ১৫ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। র্যাবের টিএফআই সেলে গুম–নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৭ আসামির মধ্যে ১০ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
পলাতক আসামিদের বিষয়ে আদালত দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন, যা আগামী ২৯ অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। একই সঙ্গে ২০ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেআইসি (জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল) সেলে গুমের অভিযোগে দায়ের করা আরেক মামলায় ১৩ আসামির মধ্যে তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়। ওই মামলাতেও একই আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল এবং পরবর্তী শুনানির তারিখ একই দিন ধার্য করেন।
তিনটি মামলায় মোট ৩২ জন আসামি থাকলেও বর্তমানে সেনা হেফাজতে আছেন ১৫ জন।
ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়া কর্মকর্তারা হলেন—
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল মখচুরুল হক (অব.), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও কর্নেল কেএম আজাদ।