সময়ের চিত্র ডেস্ক:
দীর্ঘ ১০ দিনের আন্দোলনের পর অবশেষে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিলেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। সরকারের পক্ষ থেকে দুই ধাপে বাড়িভাড়া ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পর এ ঘোষণা দেন তারা।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র শিক্ষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সভাপতি এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “শিক্ষক পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আগামীকাল বুধবার থেকে শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরবেন। আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা দ্রুত পুষিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”
শিক্ষা উপদেষ্টা সম্মতিপত্র হস্তান্তরকালে বলেন, “সরকার পর্যায়ক্রমে বাড়িভাড়া ১৫ শতাংশে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে—এর প্রথম ধাপ নভেম্বর থেকে এবং দ্বিতীয় ধাপ ২০২৬ সালের জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এটি শিক্ষা খাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
বাড়িভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত:
অর্থ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে মূল বেতনের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২,০০০ টাকা) এবং ২০২৬ সালের জুলাই থেকে আরও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে সর্বমোট ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
শর্তাবলি:
অর্থ বিভাগের অনুমোদনে কিছু শর্তও দেওয়া হয়েছে—
১. পরবর্তী বেতন কাঠামোতে এই অতিরিক্ত সুবিধা সমন্বয় করতে হবে।
২. এমপিও নীতিমালা ও সরকারি নির্দেশনা অনুসারে নিয়োগের শর্ত পূরণ করতে হবে।
৩. এ বাড়িভাতা বৃদ্ধির কারণে কোনও বকেয়া প্রাপ্য হবেন না শিক্ষক বা কর্মচারীরা।
৪. ভাতা প্রদানে আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৫. ভবিষ্যতে অনিয়ম প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে ১,৫০০ টাকা এবং উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে আন্দোলনে ছিলেন। সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে আন্দোলনকারীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।