সময়ের চিত্র প্রতিবেদক:
বেতন-ভাতার কাঠামো পুনর্নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে আগামী সোমবার (২০ অক্টোবর) থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর হাইকোর্ট মাজার মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে এই ঘোষণা দেন শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব ও আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী।
এর আগে সকালে অর্থ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়— এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপসচিব মিতু মরিয়মের স্বাক্ষরিত ওই আদেশ অনুযায়ী, ছয়টি শর্ত সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে।
তবে শিক্ষকরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। তাদের দাবি, বাড়িভাড়া ভাতা ২০ শতাংশ, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা, এবং উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।
বিকেলে শিক্ষকরা ‘ভুখা মিছিল’ নিয়ে শিক্ষাভবন অভিমুখে যাত্রা করলে মাজার রোড এলাকায় পুলিশ মিছিলটি আটকে দেয়। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শহীদ মিনার থেকে শুরু হওয়া ওই মিছিলে শিক্ষকরা স্লোগান দেন— “যৌক্তিক আন্দোলন মেনে নাও”, “২০% বাড়িভাড়া চাই”, “ভাতা নয়, অধিকার চাই” ইত্যাদি।
এদিন সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতিনিধি দল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে গুলশানে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জাতীয়করণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলন শিথিল করার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার বলেন,
“বর্তমান সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বাড়িভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষক সমাজের প্রাপ্য আরও অনেক বেশি, তবে এখন ক্লাসরুমে ফেরার সময় এসেছে।”