আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক শহরে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে অন্তত ৪০ জন নিহত ও ১৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। স্পিন বোলদাকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা করিমুল্লাহ জুবাইর আগা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
🔹 যুদ্ধবিরতি ভেঙেই নতুন হামলা
১১ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় টানা সংঘর্ষ ও পাল্টা হামলার পর দুই দেশ ১৫ অক্টোবর থেকে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। তবে ১৭ অক্টোবর স্থানীয় সময় দুপুরের পর সেই বিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই পাকিস্তানের বিমান ও স্থল বাহিনী নতুন করে আক্রমণ শুরু করে।
🔹 প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা
হামলার শিকার স্থানীয় বাসিন্দা হাজি বাহরাম বলেন,
> “আমি জীবনে এমন নির্মমতা দেখিনি। যারা নিজেদের মুসলমান বলে দাবি করে, তারা নারী ও শিশুদের লক্ষ্য করেছে।”
🔹 একাধিক এলাকায় গোলাবর্ষণ
বিমান হামলার পাশাপাশি নোকলি, হাজি হাসান কেলাই, ওয়ার্দাক, কুচিয়ান, শহীদ ও শোরবাক এলাকাগুলোতেও পাকিস্তানি সেনারা আর্টিলারি গোলা নিক্ষেপ করে। এতে বহু ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ধ্বংস হয়ে যায় এবং হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ে।
🔹 সংঘাতের পেছনে টিটিপি ইস্যু
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। নিষিদ্ধ এই গোষ্ঠী বর্তমানে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে।
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর টিটিপি আরও সক্রিয় হয়। পাকিস্তানের দাবি, আফগান তালেবান সরকার টিটিপিকে আশ্রয় ও সহায়তা দিচ্ছে, যদিও কাবুল সরকার তা বারবার অস্বীকার করেছে।
🔹 সংঘাতের সূচনা
গত ৯ অক্টোবর পাকিস্তানের বিমান হামলায় টিটিপি নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদ নিহত হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা তীব্র হয়।
চার দিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও, সেই বিরতি ভেঙে ফের রক্তপাত ঘটল সীমান্তের স্পিন বোলদাকে।
📘 সূত্র: আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ, স্থানী
য় প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।