নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেতন-ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে তারা ‘লং-মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ থেকে সরে যান।
দুপুর ১২টার মধ্যে দাবি আদায়ে সরকারি সিদ্ধান্তের ঘোষণার সময়সীমা শেষ হলে শিক্ষকরা শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে অগ্রসর হন। দুপুর ২টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তারা মোড়টি অবরোধ করেন। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা এই অবরোধে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে শাহবাগ, টিএসসি, ও বাংলামোটর এলাকায়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে শিক্ষক নেতারা ঘোষণা দিয়েছিলেন—বুধবার সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করবেন তারা। রোববার (১২ অক্টোবর) থেকে শিক্ষকরা ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে টানা অবস্থান করছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে অনেক শিক্ষক রাতেও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
রোববার প্রেস ক্লাবের সামনে কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ জলকামান, লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর দেশব্যাপী শিক্ষকরা কর্মবিরতির ঘোষণা দেন এবং আন্দোলন আরও বেগবান হয়।
শিক্ষক সংগঠনগুলোর দাবির মধ্যে রয়েছে—
বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ২০ শতাংশ নির্ধারণ,
চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা করা,
এবং শিক্ষক ছাড়া অন্য কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করা।
বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা গড়ে ১২,৫০০ টাকা বেতন, ১,০০০ টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় বাড়িভাড়া মাত্র ৫০০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়, যা শিক্ষকরা “প্রহসনমূলক” বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
দেশে বর্তমানে প্রায় ২৬ হাজার বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে ৩ লাখ ৮০ হাজারের বেশি শিক্ষক ও ১ লাখ ৭০ হাজার কর্মচারী কর্মরত আছেন।