ট্রাম্প নয়, শান্তিতে নোবেল পেলেন ভেনেজুয়েলার মাচাদো

সময়ের চিত্র ডেস্ক:

এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার মানবাধিকারকর্মী ও গণতন্ত্রপন্থী নেতা মাহিনা কোহিয়ানা মাচাদো। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম ঘোষণা করে।

 

বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছিল—এই পুরস্কারটি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেতে পারেন কিনা। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এ বছর শান্তির নোবেল উঠলো ভেনেজুয়েলার এই নারী নেত্রীর হাতে।

 

মাচাদো দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরব ছিলেন। মানবাধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতার জন্য তার নিরলস লড়াইই তাকে এ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের আসনে নিয়ে গেছে বলে জানায় নোবেল কমিটি।

 

গত কয়েক বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের দিকে তাকালে দেখা যায়, মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করা ব্যক্তিরাই প্রধানভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

২০২৪ সালে জাপানের অ্যান্টি-নিউক্লিয়ার সংগঠন নিহন হিদানকিয়ো এই পুরস্কার পায়—যা হিরোশিমা ও নাগাসাকির পরমাণু হামলার বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সংগঠন।

২০২৩ সালে পুরস্কার পান ইরানের নার্গিস মোহাম্মাদি, নারীর অধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে সংগ্রামের জন্য।

এর আগে ২০২২ সালে সম্মানিত হন বেলারুশের আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি, রুশ সংগঠন মেমোরিয়াল ও ইউক্রেনের সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ।

২০২১ সালে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার পান ফিলিপাইনের মারিয়া রেসা ও রাশিয়ার দিমিত্রি মুরাতভ।

 

এ পর্যন্ত সর্বাধিক তিনবার শান্তিতে নোবেল পেয়েছে রেড ক্রস (১৯১৭, ১৯৪৪ ও ১৯৬৩ সালে)।

দুইবার পেয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর (১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে)।

আর ২০১৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে শান্তির নোবেল জয় করে ইতিহাস গড়েছিলেন পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই, যিনি এখনো সবচেয়ে কম বয়সী নোবেলজয়ী।

এই বিভাগের আরো খবর