আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম :
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের ব্লক পিচিংয়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কাচকোল সড়কটারী এলাকায় ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের ব্লক পিচিংয়ে ভাঙন দেখা দেয়ায় নদী পাড়ের মানুষ আতঙ্কিত। এতে হুমকির মুখে রয়েছে গোটা ডানতীর রক্ষা প্রকল্প, এমন দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ দিয়ে রক্ষা করার কথা জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের কড়াল গ্রাস থেকে চিলমারীকে রক্ষার জন্য ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে নদের ডানতীর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রাস্তা ব্লক পিচিং করা হয়।
প্রকল্পের আওতায় উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট এলাকা থেকে রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ হাট বাজার পর্যন্ত এলাকার কাজ কয়েক ধাপে সম্পন্ন করা হয়। ওই প্রকল্পে কয়েক দফায় ভাঙন দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে তা মেরামত করা হয়।
সম্প্রতি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেলে হঠাৎ নদের ডানতীর ঘেষে স্রোত সৃষ্টি হয়। এতে গত সোমবার রাতে কাচকোল সড়কটারী এলাকায় প্রকল্পের ব্লক পিচিংয়ে ভাঙন দেখা দেয়। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ব্লক পিচিংয়ে ভাঙন দেখা দেওয়ায় নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ চরমভাবে আতঙ্কিত। এতে হুমকির মুখে রয়েছে গোটা ডানতীর রক্ষা প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও আবাদি জমি, দাবি করেছেন তারা। অপরদিকে, জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ দিয়ে রক্ষা করার কথা জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার বিকেলে কাচকোল সড়কটারী (শিমুলতলী) এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এক জায়গায় প্রায় ৩০ মিটার ও অপর একটি জায়গায় প্রায় ২০ মিটার, মিলে দু’টি স্থানে প্রায় ৫০ মিটার এলাকায় ব্লক পিচিং নদীতে ভেঙে গেছে এবং ভাঙন এখনও অব্যাহত রয়েছে। নদের তীব্র স্রোতের ফলে ভাঙন জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
এসময় ওই এলাকার আব্দুল কাদের, একরামুল হকসহ অনেকে জানান, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ তীব্র স্রোতে নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধের দাবি জানান তারা।
চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল করিম জানান, জরুরি ভিত্তিতে যদি ভাঙন প্রতিরোধ করা না হয় তবে গোটা ডানতীর রক্ষা প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, “আমরা ভাঙন এলাকা দেখে এসেছি। দুইটি পয়েন্টে মোট ৫০ মিটার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এটি জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ দিয়ে আমরা রক্ষা করব।”