সময়ের চিত্র ডেস্ক:
গাজা যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনার দিনও থামেনি ইসরায়েলি হামলা। সোমবার (৭ অক্টোবর) গাজায় নতুন করে বিমান হামলায় অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারান।
মিশরের উপকূলীয় শহর শারম আল-শেখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের প্রতিনিধিরা পরোক্ষ আলোচনায় বসেছেন। আলোচনায় বন্দি বিনিময় ও আটক ব্যক্তিদের মুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে মিশরের গোয়েন্দা সংস্থার ঘনিষ্ঠ গণমাধ্যম আল-কাহেরা নিউজ, যা উদ্ধৃত করেছে আল জাজিরা।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, আলোচনার প্রথম দফা গভীর রাতে শেষ হয় এবং মঙ্গলবার পুনরায় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হামাসের ইসরায়েল আক্রমণ ও গাজা যুদ্ধের দুই বছর পূর্তির সময় এই আলোচনা শুরু হওয়ায় এটি যুদ্ধের অবসানের সম্ভাবনা জাগিয়েছে।
তবে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে এখনো অনেক বাধা রয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর মুখপাত্র শোশ বেদরোশিয়ান জানিয়েছেন, সেনারা এখনো “প্রতিরক্ষামূলক অভিযান” চালাচ্ছে এবং কোনো আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়নি।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, উভয় পক্ষই তাঁর প্রস্তাবিত শান্তি কাঠামোর সঙ্গে মূলত একমত হয়েছে এবং “খুব দ্রুত অগ্রগতি” হচ্ছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট জানান, আলোচনার প্রযুক্তিগত দিকগুলো নিয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আশা প্রকাশ করেছেন, হামাসের হাতে থাকা ৪৮ ইসরায়েলি বন্দির মধ্যে অন্তত ২০ জন জীবিত আছেন এবং তাদের মুক্তি এই সপ্তাহেই ঘোষণা করা হতে পারে। ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, হামাস বন্দিদের মুক্তি দিলে ইসরায়েলও ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেবে, পাশাপাশি গাজার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাত থেকে সরে যাবে ও ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহার করবে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, চলমান সংঘাতে এ পর্যন্ত ৬৭ হাজার ১৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৯ জন আহত হয়েছেন এবং দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ তীব্র খাদ্য ও আশ্রয় সংকটে রয়েছেন।
সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স