কুতুবদিয়া চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দিলেন মাসুম

খেলাধুলা ডেস্ক:

বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিং (বোয়াস) এর উদ্যোগে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দেওয়ার অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন মাসুম সহ ১৫ সদস্যের

সাঁতারু টিম।

 

শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত পেকুয়া উপজেলার মগনামা লঞ্চঘাটের উত্তর পাশ থেকে থেকে এই সাঁতার শুরু করেন।

অন্যান্যদের সাথে মাসুম সফলভাবে এই চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন। তিনি ৬.২ কিলোমিটারের উত্তাল চ্যানেল পাড়ি দিতে সময় নেন ২ ঘন্টা ১৮ মিনিট। ১৫ জন সাঁতারুর মধ্যে ৪র্থ স্থান অর্জন করেন।

 

সাঁতারের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে মাসুম বলেন, ‘প্রতিটি চ্যালেঞ্জ ভিন্ন অভিজ্ঞতার জন্ম দেয়। আজকের চ্যানেলটি ছিলো অ্যাডভেঞ্চারে ভরপুর।

শান্তভাবে সাঁতার শুরু হওয়ার পর হটাৎ করে প্রচন্ড ঢেউ শুরু হয়। পাশাপাশি প্রচন্ড বিপরীতমুখী স্রোত। দূরত্ব কম হলে পুরো পথটা ছিলো চ্যালেঞ্জে ঠাসা, যা ছিল দারুন উপভোগ্য। ওপেন ওয়াটার সাঁতারের মাধ্যমে সাধারণ

মানুষকে সাঁতারের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা। কারণ সাঁতার কোন সাধারণ স্পোর্টস নয়, এটি জীবন রক্ষাকারী একটি খেলা। নদীপ্রধান দেশ হিসেবে আমাদের প্রত্যেকজন মানুষের বেসিক সাঁতার শেখা উচিত। প্রতিবছর বাংলাদেশে ১৪,৪৩৮ জন শিশু পানিতে পরে মৃত্যুবরণ করে। সাঁতার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে এই মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। এ ছাড়া সমুদ্রের পানি

দূষণমুক্ত রাখা এবং কুতুবদিয়া এলাকায় পর্যটনশিপ্লের প্রসার করাকেও অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।’

 

বাংলাদেশে ওপেন ওয়াটার সুইমিংকে জনপ্রিয় করতে বোয়াসের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে জানান তিনি।

 

ইভেন্টটির টাইটেল স্পনসর ছিল ‘পাহাড় থেকে ডট কম’ এবং রেসকিউ পার্টনার হিসেবে পাশে ছিল ‘কক্সবাজার ট্রায়াথলেট’।

 

উল্লেখ্য, মাসুম এর আগে বাংলা চ্যানেল সাঁতার (টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন-১৬.১ কিলোমিটার), সুবলং চ্যানেল সাঁতার (কাপ্তাই লেক-১৩.৫

কিলোমিটার), পদ্মা ক্রসিং সাঁতার (১৩ কিলোমিটার), মেঘনা ক্রসিং সাঁতার (৫

কিলোমিটার) সফলভাবে সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া তিনি লং ডিস্টেন্স রানিং করে থাকেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো হলো কোস্টাল আল্ট্রা – ১০০

কিলোমিটার, মেরিন ড্রাইভ আল্ট্রা – ৫০ কিলোমিটার, শমশেরনগর আল্ট্রা – ৫০ কিলোমিটার উল্লেখযোগ্য।

এই বিভাগের আরো খবর