বিনোদন প্রতিবেদক:
স্যাটেলাইট চ্যানেল মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার চলতি ‘মিলন হবে কতদিনে’ নাটকটি ইতোমধ্যে জমে উঠেছে। গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে নির্মিত নাটকটি ইতোমধ্যে দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন দর্শকদের কাছে থেকে নাটকটির বিষয়ে বেশ ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছেন তারা। রবি থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮-৪০ মিনিটে প্রচার হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক ‘মিলন হবে কতদিনে’। আহমেদ শাহাবুদ্দীনের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন গোলাম সোহরাব দোদুল। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মীর সাব্বির, নাদিয়া আহমেদ, শারমিন জোহা শশী, শাহেদ শরীফ খান, মুকুল সিরাজ, সুষমা সরকার, সাজু খাদেম, প্রাণ রায়, অবিদ রেহান, শামীমা তুষ্টি, সুজাত শিমুল, মানসী প্রকৃতি, ওয়ালিউল হক রুমি(প্রয়াত), করভী মিজান, ম আ সালাম, খলিলুর রহমান কাদেরী প্রমুখ। নাটকের কাহিনিতে দেখা যায়, ঝাটিবেলাই গ্রামের দুই যুবক মধু ও মতি ছোটবেলার বন্ধু। তাদের মা-বাবা কেউ নেই। পৈতৃক কিছু সম্পত্তি পেয়েছে। তা দিয়েই চলে। কোন কাজ করে না। দুইজনই খুব কৃপণ স্বভাবের। তাদের মাথায় গোবর। কিন্তু নিজেদেরকে খুব চালাক মনে করে। নানা চালাকি করতে গিয়ে বিপাকে পড়ে। গায়ে পড়ে গ্রামের মেয়েদের সাথে কথা বলে। এজন্য গ্রামের মুরব্বীরা তাদেরকে বিয়ে করিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দু’জনে সেজেগুজে একেকদিন একেক এলাকায় যায় পাত্রী দেখতে। একদিন ফুলজোর নদীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নদীতে একটা লাশ ভেসে থাকতে দেখে তারা। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। লাশটি মোক্তারের। এর আগেও কয়েকবার এই নদীতে এরকম লাশ পাওয়া গেছে। গ্রামের মাতবর মহিম তালুকদার প্রচার করেন ফুলজোর নদী মানুষ খায়। এবারও তিনি একই কথা বলছেন। তবে এটা বিশ^াস হয় না খবিরুদ্দিন মাস্টারের ছেলে আদিলের। মহিম তালুকদারকে বিশ^াস করে না সে। বিষয়টা তদন্তের জন্য পুলিশ নিয়ে আসে আদিল। দারোগা সুলতান মধু ও মতির সাথে কথা বলতে চান। তাদের ফোন বন্ধ পেয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। সেই সন্দেহে বিষ ঢালে হাঁসা জামাল। নানারকম ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় গল্প।