নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে শ কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।
শুক্রবার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত রোকেয়া হল এবং স্যার এ এফ রহমান হল পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হলসমূহের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিকট হতে আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্নের মাধ্যমে হলসমূহ সংস্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে।
তিনি বলেন, আকস্মিকভাবে ও মুহূর্তের মধ্যেই মারমারি শুরু হয়ে যায়। হল প্রভোস্টরাও জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে তারা ভাঙচুর ঠেকাতে পারেননি।
কোটা সংস্কারের আন্দোলনের এক পর্যায়ে ঢাবির বিভিন্ন হল থেকেও ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়। কোনো কোনো হলে ছাত্রলীগ নেতাদের না পেয়ে তাদের কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়। পাশাপাশি ১৪টি হলে ‘ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ’ মর্মে অঙ্গীকারনামায় প্রাধ্যক্ষদের স্বাক্ষর আদায় করেন হামলাকারীরা।
উপাচার্য মাকসুদ কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর হলে হলে নিয়মিত ছাত্ররাই যাতে রুম বরাদ্দ পান তা নিশ্চিত করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান এবং হল প্রাধ্যক্ষরা।