গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরে জোরপূর্বক ১৪ বছর বয়সী শিশু গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করে মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে চিকিৎসক ফরহাদ উজ্জামান কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৯ জুন) রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার শ্রীপুর বাজারের তার নিজস্ব চেম্বার থেকে চিকিৎসক ফরহাদ উজ্জামান কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত চিকিৎসক ফরহাদ উজ্জামান (৩৮), গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের অ্যাড. আবুল হাশেমের ছেলে। তিনি একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মাহমুদুল ইসলাম তথ্য নিশ্চিত বলেন, জোরপূর্বক শিশু ধর্ষণ ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের অভিযোগে চিকিৎসক ফরহাদ উজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের সূত্রে জানা যায়, তার স্বামী রিকশা ও তিনি বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গৃহিণীর কাজ করেন। দুই মাস আগে তার পঞ্চম মেয়েকে (১৪) শ্রীপুর পৌর শহরের মাছ বাজার সংলগ্ন অ্যাডভোকেট আবুল হাসেমের বাড়িতে মাসিক বেতনে গৃহকর্মীর কাজে দেন। সেখানে কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অ্যাডভোকেট আবুল হাসেমের ছেলে ডা. ফরহাদ উজ্জামান তার মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভনে বাসায় জোর করে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ছাড়া বাসার নিচতলায় রোগী দেখার চেম্বারে নিয়েও একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং মোবাইলে সেই ভিডিও ধারণ করেন।
প্রসঙ্গগত, ২১ জুন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শ্রীপুর থানার শ্রীপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের শ্রীপুর গ্রামের বাসার নিচে রোগী দেখার চেম্বার পরিষ্কার করার কথা বলে তার মেয়েকে মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানার পর মেয়েকে ওই বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিন্তু পরবর্তীতে তার আত্মীয়স্বজনসহ বিভিন্নজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও প্রচারের বিষয়টি জানায়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় মামলা রুজু হয়েছে। রোববার আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।