বিনোদন প্রতিবেদক: ভালো নেই ‘দারুচিনি দ্বীপ’খ্যাত অভিনেত্রী সীমানা। ১০ দিন কেটে গেলেও জ্ঞান ফিরেনি সীমানার। হাসপাতালের বিছানায় শয্যাশয়ী মাকে দেখে চিৎকার করে কাঁদছে সীমানার ৮ বছর বয়সি পুত্র আকাইদ সাজ্জাদ শ্রেষ্ঠ। সীমানার ছোট ভাই এজাজ বিন আলী গণমাধ্যমকে জানান, বারবার মায়ের কাছে যেতে চাইছে শ্রেষ্ঠ। মা কেন চোখ খুলছে না? কেন কথা বলছে না? কখন মায়ের বুকে ঘুমাতে পারবে এসব প্রশ্ন করছে শ্রেষ্ঠ। মায়ের জন্য ক্ষণে ক্ষণে চিৎকার করে কাঁদছে সে। শ্রেষ্ঠর কান্না পরিবারের কেউই সহ্য করতে পারছেন না বলেও জানান এজাজ বিন আলী। জানা যায় গত ২১ মে সীমানার স্ট্রোক হয়, দ্রুত তাকে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার লিভারের সমস্যাও আছে। সেখানে নিউরোলজিস্ট ও লিভার স্পেশালিস্ট দুই ডাক্তারের পরামর্শে অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে তার জ্ঞান না ফেরায় আইসিইউতে রাখা হয়। বুধবার সীমানার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সীমানাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলেও জানান এজাজ। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে সীমানার পরিবারের সদস্যদরা গণমাধ্যমকে বলেন, যদি অলৌকিক কিছু ঘটে, তাহলে হয়তো কিছু একটা হবে। এই মুহূর্তে অবস্থা মোটেও ভালো না। আমরা শুধু প্রার্থনা করছি। সবার কাছে সীমানার সুস্থতার জন্য দোয়া চাইছি। অভিনেত্রী সীমানার তিন ও সাত বছর বয়সি দুইজন সন্তান রয়েেেছ। তিনি বলেন পারিবারিক কিছু চাপ ছিল, খুব বড় কোনো কারণ নেই। সেগুলো নিয়েই স্ট্রোক করে, এতে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। এজাজ বিন আলী জানিয়েছেন অভিনেত্রী সীমানার ৯ দিন আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পর সার্জারি করা হয়। তারপর থেকেই তিনি আইসিইউতে রয়েছেন। অন্যদিকে তার মধ্যে কিডনি সমস্যাও জটিল আকার ধারণ করেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এখন নিশ্বাসেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। অভিনেত্রী সীমানা ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে আসেন। তিনি ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে সবার নজরে আসেন। সিনেমায় সাফল্যের পর নাটকে নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন সীমানা। এরপর নাটক, বিজ্ঞাপনেও নিয়মিত কাজ করেছেন।
আগের পোএ্ট
এই বিভাগের আরো খবর