নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোলার মনপুরার দক্ষিণ সাকুচিয়া গ্রামে গত রোববার সকালে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূসহ দুইজনকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।
আহত মোঃ মহসিন অভিযোগ করেন, শিহাব, মনির, আলমগীর, হৃদয়, জসিম একই এলাকার পাশাপাশি বাড়ীর বাসিন্দা। তাদের সাথে আমার পরিবারের জায়গা-জমি সংক্রান্ত দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসতেছে। তারা আমাদের সম্পত্তি ভোগদখল করার জন্য পায়তারা করতে থাকে। বিষয়টি এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানাইলে তারা এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের কোন কথার তোয়াক্কা করে না। ঘটনার আগের দিন রাত্রে আমি পবিত্র লাইলাতুল কদর রাত্রিতে আমাদের স্থানীয় নুর মাঝি জামে মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য গেলে শিহাবের সহিত আমার মসজিদের দোয়া মুনাজাতে তবারক নিয়া সামান্য কথা কাটাকাটি হয় এবং সেখানে আমারে সে মারধর করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন আমাদের উভয়কেই আপোষ মিমাংশা করে দেয়। পরবর্তীতে আমি মসজিদে গিয়ে পবিত্র লাইলাতুল কদরের নামাজ শেষে করে বাড়ী যাই।
এরপর গত ০৭ এপ্রিল রবিবার সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় আমি আমার অন্তঃস্বত্বা স্ত্রীকে জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তার দেখানোর জন্য মোটর সাইকেলযোগে আমার বসত বাড়ীর পাঁকা রাস্তার উপর পৌছামাত্র শিহাব গংরা একজোটাবদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমাদের পথরোধ করে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে এলোপাথারী মারধর করে তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। আমাকে রক্ষা করার জন্য আমার অন্তঃস্বত্বা স্ত্রী ইশরাত জাহান লিজা আগাইয়া আসলে শিহাব গংরা তাহাকেও এলোপাথারী চর-থাপ্পর, লাথি মারিতে থাকে। ইহাতে আমার অন্তঃস্বত্বা স্ত্রী তাহার পেটে মারাত্মক বেদনাদায়ক জখমপ্রাপ্ত হয়। তাহাতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এসময় তারা আমার স্ত্রীর কাছে থাকি স্বর্নের আংটি ও নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে। চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া ভর্তি করে। এব্যাপারে মনপুরা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।