নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আগামী শুক্রবার থেকে বিশ্ব ইসতেমা শুরু হচ্ছে। দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে রোববার শেষ হবে। শীত উপেক্ষা করে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা শুরু করেছে মুসল্লিরা। এরমধ্যেই ইজতেমায় যোগ দিতে ময়দানে আসতে শুরু করেছেন অনেক মুসল্লি। প্রথম পর্বে জোবায়েরপন্থি মুসল্লিরা অংশ নেবেন। চার দিন বিরতির পর ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হবে। এ পর্বে অংশ নেবেন সাদপন্থি মুসল্লিরা।
ইজতেমা উপলক্ষে টঙ্গীতে ১৬০ একর জায়গায় বিশাল সামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। তুরাগ নদে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তৈরি করছেন পল্টুন ব্রিজ। যা দিয়ে সাময়িকভাবে মুসল্লিরা এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করতে পারবেন। বিশাল ময়দানে জেলা অনুযায়ী খিত্তাভিত্তিক চলছে মাইক বাঁধা এবং বৈদ্যুতিক তার ও বাতি টাঙানোর কাজ।
এছাড়া গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ১২টি উৎপাদন নলকূপে ১২ কিলোমিটার পাইপ লাইনের মাধ্যমে প্রতিদিন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হবে। প্রায় ৮ হাজার অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। ময়দানের চাহিদা মোতাবেক ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ ও ২৫টি ফগার মেশিনে মশক নিধনেরও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিবারের মতো নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা৷ দেশি-বিদেশি মেহমানদের যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেই চেষ্টাও করে যাচ্ছেন মুসল্লিরা৷
ইজতেমার মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য ১১ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও মিডিয়া সেল স্থাপনসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তুরাগ নদে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অস্থায়ী সেতু তৈরি করেছেন বলেও জানা গেছে।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের বার্ষিক মহাসম্মেলন বিশ্ব ইজতেমা। আগত মুসল্লিরা জেলাওয়ারী খিত্তায় অবস্থান করবেন। প্রতি বছরের মতো এবারও উর্দু ভাষায় বয়ান করা হবে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে বয়ানের সঙ্গে বাংলা ও আরবি ভাষায় তরজমা করা হবে।
আগের পোএ্ট