মঞ্চায়ন হলো দৃশ্য কাব্য থিয়েটারের “অতঃপর প্রণয়”
বিনোদন প্রতিবেদক:
– রানা বর্তমান
সাহিত্যিক ও নির্মাতা
শেক্সপিয়রের জীবদ্দশায় সবচেয়ে জনপ্রিয় ও পাঠকনন্দিত নাটক” রোমিও এন্ড জুলিয়াটস”। একই সাথে হ্যামলেট, এবং ম্যাকবেথও ছিলো পাঠক নন্দিত ও সমান জনপ্রিয়। প্রাচীন যুগের সাহিত্যে বিয়োগান্তক প্রেমের উপাখ্যানের একটি ধারা লক্ষ্য করা যায় রোমিও এন্ড জুলিয়েটে। রোমিও জুলিয়েট নাটক সেই ধারার অন্তর্গত।
শেক্সপিয়রের এই বিখ্যাত “রোমিও এন্ড জুলিয়েট”কে রূপান্তর করে রুমা মোদক নিজস্ব রঙে নিজস্ব ঢঙে মঞ্চের জন্য রচনা করেন নাটক “অতঃপর প্রণয়” দীর্ঘ থিয়েটার জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে সুনিপুন ভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন এইচ এম মোতালেব। গল্পের শৈল্পিকতার উপরে ভিত্তি করে মঞ্চ পরিচালনা করেছেন ফজলে রাব্বি সুকর্ণ।
চমৎকার চিত্রনাট্যের উপরে আবাহ সংগীত পরিচালনা করেন হামিদুর রহমান পাপ্পু। এছাড়াও আলোক পরিকল্পনায় ছিলেন ফাহরুখ খান টিটু এবং পোশাক পরিকল্পনায় শুভাশিস দত্ত তন্ময়। বিয়োগান্তক ও রোমান্টিক প্রেম কাহানি নির্ভর ” অতঃপর প্রণয়” নাটকটি প্রযোজনা করেছেন “দৃশ্যকাব্য থিয়েটার”।

১০ নভেম্বর ২০২৩ শুক্রবার, সন্ধ্যা সন্ধ্যা ৭ টায় মুল মিলনায়তন ( নাট্যশালা) প্রথম প্রদর্শনী হয়েছে। এখানে শেক্সপিয়ারের রোমিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিমন সাহা, অসাধারন অভিনয় করে উপস্থিত দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন এবং শেক্সপিয়ারের জুলিয়েট চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাইরুজ সিফাত।
নাইরুজ সিফাত’র কস্টিউম মেকআপ সংলাপ থ্রোলিং ছিল দর্শকের চোখে পড়ার মত। এদের অভিনয় দেখে দর্শকের চোখ থেকে পানি ছড়িয়েছেন। উপস্থিত দর্শকরা বেশ ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলেন। এছাড়াও চৌধুরী চরিত্রে এইচ এম মোতালেব( নির্দেশক) , চৌধুরী গিন্নি চরিত্রে মৌসুমি বেগম ঢাকাইয়া, সৈয়দ চরিত্রে আবুল হাসনাত,বিল্লাল চরিত্রে আসরাফ আরিয়ান, মোহন চরিত্রে প্রত্যয়, কবিরাজ চরিত্রে দীপু মাহমুদ, বৃন্দা মাসী চরিত্রে চিত্রা সাহা,পিয়ারী চরিত্রে শিবলু কার্তিক চরিত্রে স্পর্শ, মুরুব্বি চরিত্রে আতিক এবং তন্ময়।
অতঃপর প্রণয় নাটকটিতে দেখা যায় সৈয়দ পরিবারের ছেলে রুম্মনের সাথে চৌধুরী পরিবারের মেয়ে জুঁইয়ের প্রেমের সম্পর্ক হয়ে। দুই পরিবারের মধ্যে রয়েছে পুরাতন হিংসা রাগ ক্ষোভ তথা দন্দ। নাটকের শেষের দিকে দেখা যায় রুম্মান মারা যায়, রুম্মনের মৃত্যু প্রেমিকা মেনে নিতে না পেরে সেও তার ভালোবাসার জন্য আত্মদান করে আত্মহত্যা করে। এভাবেই নাটকটি চলতে থাকে শেষের দিকে।
সময় এবং সুযোগ হলেই এই নাটকটি নিয়ে নির্দেশকের পরিকল্পনা দেশে এবং দেশের বাহিরে নাটকটি প্রদর্শনী করা। এবং দেশের বাহিরে সম্মান অর্জন করা। দেশ এবং দেশের বাহিরে নাট্যজন এর কাছ থেকে প্রশংসা অর্জন করা।
নাটকটি “দৃশ্যকাব্যের” দ্বিতীয় প্রযোজনা এছাড়াও বেশ জনপ্রিয় একটি নাটক রয়েছে “বাঘ “।