ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলার তজুমদ্দিনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমানের সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ জন আহত হন। আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এই ঘটনায় বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুর এর অভিযোগ উঠেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নেন।
ভোলা-৩ আসনের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন এর সমর্থকরা এই হামলা করেছে অভিযোগ করেন আহতরা। এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে ভোলা-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রতাশী ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমানের সমর্থকরা দক্ষিণ খাসেরহাট বাজারে বিএনপি-জামাতের ডাকা অবরোধের প্রতিবাদে জানিয়ে মিছিল বের করে। এসময় তজুমদ্দিন যুবলীগ নেতা কিরনের নেতৃত্বে রাসেল, জামাল, কামাল, রাজীব মেম্বারসহ শতাধিক নেতা-কর্মীরা মিছিলের উপর দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র সহ হামলা চালায়। এসময় দু’গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫জন আহত হন। এই ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ইউসুফ মিঝি ঘরবাড়ীসহ প্রায় ৭টি দোকান, ৫টি মটোরসাইকেল ও মাইক্রোবাস ভাংচুর করে স্থানীয় এমপির সমর্থকরা। পরে স্থানীয়রা আহতের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই ঘটনায় এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ইউসুফ মিঝি বলেন, এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওনের সমর্থকরা আমাদের উপর হামলা করেছে। তারা আমার বাড়ীঘর ভেঙ্গে ফেলেছে। এছাড়াও মটসাইকেল, মাইক্রোবাস ভাংচুর করেছে। এমপি সমর্থকদের হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন সমর্থকরা সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলন অভিযোগ করে বলেন,এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। উল্টো আমাদের কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করেন।
তজুমদ্দিন উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক একে এম শহীদুল্লাহ কিরন বলেন,মঙ্গলবার দেশব্যাপী বিএনপি জামায়াতে আগুন সন্ত্রাস ও হরতাল বিরোধী একটি উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ আয়োজন করে শম্ভুপুর ইউনিয়ন (দক্ষিন) আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে বিকেল ৫ টায় শম্ভুপুর দক্ষিন যুবলীগের একটি মিছিল খাশের হাট বাজার প্রদক্ষিন করে ভূমি অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ইউসুফ মিজির বাড়ির ভেতর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এঘটনায় আহত হন আওয়ামী লীগের ১৫-১৬ নেতা কর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান বুধবার দুপুরে তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করেন। এসময় তিনি আরো দাবী করেন, হামলাকারীরা ইঞ্জিনিয়ার নোমানের কর্মী সমর্থক।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানায়, দুই পক্ষের সমর্থকরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দুপক্ষের ১০জনের মতো আহত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।