খেলাধুলা

বেহাল ব্যাটিংয়ে সিরিজ হারল বাংলাদেশ

খেলা ধুলা ডেস্ক:

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত ১৫ বছরে ঘরের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। এই সময়ের মধ্যে নিজ দেশে কিউইদের কাছে ওয়ানডেও হারেনি। তবে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে ২০১০ ও ২০১৩ সালে বাংলাদেশে এসে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে কিউইরা। কিন্তু এবার দ্বিতীয় সারির নিউজিল্যান্ডের কাছে ১৫ বছর পর ঘরের মাটিতে শুধু ওয়ানডে হারই নয়, সিরিজও হেরেছে বাংলাদেশ। সেটি দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সারির বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণেই হয়েছে। তবে মঙ্গলবার সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বিশ^কাপ স্কোয়াডের অন্তত ৮/৯ জন খেলেছেন, ব্যাটিং শক্তিটাও ভালো ছিল। কিন্তু সেই ম্যাচেও বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে কিউইরা।

 

 

প্রথম ওয়ানডে পরিত্যক্ত হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে কিউইরা ৮৬ রানে জয় পায়। মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ছাড়া বাকিরা ব্যর্থ হন। ৩৪.৩ ওভারে ১৭১ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে নিউজিল্যান্ড ৩৪.৫ ওভারে উইল ইয়াং ও হেনরি নিকোলসের জোড়া ফিফটিতে ৩ উইকেটে ১৭৫ রান তুলে জয় ছিনিয়ে নেয় নিউজিল্যান্ড।

 

 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করেই টস জিতেছেন শান্ত এবং ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন। তবে অভিষেক ক্যাপ পাওয়া জাকির হাসান ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ১ রানে বোল্ড হয়ে যান। তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বড় ধাক্কা খাওয়া দলকে বেশি দূর এগিয়ে নিতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। তিনিও দলীয় ৩৫ রানে ১৭ বলে ১৮ করে সাজঘরে ফিরলে চরম বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৫৩ রানের জুটি এবং পঞ্চম উইকেটে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন শান্ত। ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক তিনি ৫৫ বলে পেয়ে গেলেও মুশফিক ২৫ বলে ২ ছক্কায় ১৮ ও মাহমুদুল্লাহ ২৭ বলে ২ চারে ২১ রানে আউট হন। শেখ মেহেদি হাসানও ১৪ বলে ১৩ রানে আউট হয়েছেন।

 

 

এরপর শান্তও ৮৪ বলে ১০ চারে ৭৬ রানে বিদায় নেন। শেষ ৫টি উইকেট বাংলাদেশ হারায় মাত্র ১৫ রানের মধ্যে এবং ১৫.৩ ওভার আগেই গুটিয়ে যায় ১৭১ রানে। মিলনে নেন ৩৪ রানে ৪টি উইকেট। এছাড়া ট্রেন্ট বোল্ট ও কোল ম্যাকনকি ২টি করে উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে ৪৯ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে ফিন অ্যালেন ২৬ বলে ২ চারে ২৮ রানে ফিরে যান এবং পরের বলেই অভিষিক্ত ডিন ফক্সক্রফটকে বোল্ড করেন বাঁহাতি পেসার শরীফুল। তবে আরেক ওপেনার ইয়াং ও নিকোলস জোড়া ফিফটি হাঁকান। তারা তৃতীয় উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়েছেন। এতেই সহজ জয়ের পথ তৈরি হয়ে যায়। ইয়াং ৮০ বলে ১০ চার, ১ ছয়ে ৭০ রানে নাসুম আহমেদের বাঁহাতি স্পিনে বোল্ড হলেও নিকোলস ৮৬ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। ৯১ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় পায় কিউইরা ৩ উইকেটে ১৭৫ রান তুলে। শরীফুল ৬ ওভারে ১ মেডেনে ৩২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

স্কোর ॥ বাংলাদেশ ইনিংস- ১৭১/১০; ৩৪.৩ ওভার (শান্ত ৭৬, মাহমুদুল্লাহ ২১, তাওহিদ ১৮, মুশফিক ১৮; মিলনে ৪/৩৪, ম্যাকনকি ২/১৮, বোল্ট ২/৩৩)।

 

নিউজিল্যান্ড ইনিংস- ১৭৫/৩; ৩৪.৫ ওভার (ইয়াং ৭০, নিকোলস ৫০*, অ্যালেন ২৮, ব্লান্ডেল ২৩*; শরীফুল ২/৩২০।

ফল ॥ নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা ॥ উইল ইয়াং (নিউজিল্যান্ড)।

সিরিজ ॥ ৩ ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ড

২-০ ব্যবধানে জয়ী।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button