২১ লক্ষ্য টাকার ব্রিজ,নেই চলাচলের মতো রাস্তা

মোহাম্মদ শাহ্ ফরহাদ, সিরাজগঞ্জ :

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হামকুড়িয়া গ্রামের রাস্তার বেহাল দশা। ব্রিজ থাকলেও চলাচলের মত নেই ভালো রাস্তা। গ্রামের প্রধান রাস্তা চলাচলের জন্য খুব একটা ভাল না হলেও লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয়েছে একটি ব্রিজ।

জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া ওয়াপদা বাঁদ হতে কবরস্থান পূর্ব পাশে ২১,৩৬,৫১২ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ব্রিজের দুই পাশে নেই চলাচলের মত সড়ক। নির্মাণের প্রায় ৯ বছর পরও সড়ক নির্মিত না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে।

প্রায় ৯ বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আজও সড়ক হয়নি। বর্ষা মৌসুমে ব্রিজটি কোন কাজেই আসেনা। চলাচল করতে বর্ষায় নৌকা ব্যবহার করতে হয়। কোন বড় গাড়ি চলাচল করতে পারেনা। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসী কে। যোগাযোগের সমস্যা থাকায় বর্তমানে গ্রামের মানুষ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ব্রিজটি নির্মাণ করলেও জনগণের কোনো উপকারে আসছে না। অবিলম্বে ব্রিজের দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে মানুষের চলাচল উপযোগী করার এবং গ্রামের প্রধান রাস্তা টি মেরামত করার আহ্বান জানান। জনস্বার্থের রাস্তাটি দীর্ঘদিন জনদুর্ভোগে পরিনিত হয়ে আছে। সবাই আশ্বাস দিলেও আজও বাস্তবায়ন হয়নি এলাকার প্রধান এ রাস্তার কাজ।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার হামকুড়িয়া গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। এ গ্রামের রাস্তাঘাট সহজে হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা নির্বাচনের আগে সকলেই কথা দিয়েছিলেন কিন্তু কেউ কথা রাখে নাই।অতীতের সকল জনপ্রতিনিধিরা জনগণের সাথে প্রতারণা করেছেন। যারা নতুন ক্ষমতা পেয়েছেন তারা জনগণের কষ্ট বুঝতে পারেন কিনা এবার দেখার বিষয়।

স্থানীয় কৃষক সেরাজ আলী বলেন, ব্রিজের সঙ্গে চলাচলের মতো রাস্তা না থাকায় জমি থেকে ধান কেটে বাড়ি নেওয়া যায় না। অতিরিক্ত শ্রমিক দিয়ে মাথায় করে ফসল বাড়িতে আনতে হয়।

স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম জানান, আমাদের স্কুলের দুই-তিন শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। সংযোগ সড়কের অভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক কষ্ট করে স্কুলে আসে।

মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ ইব্রাহিম হোসেন মৃধা জানান, এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল ব্রিজ কিন্তু ব্রিজ নির্মিত হলেও এর কোন সুফল আমরা পাচ্ছি না। রাস্তা না থাকায় রোগী, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের যাতায়াত দুরহ হয়ে পড়েছে।

উপজেলার ৪নং মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ম্যাগনেট বলেন,জনগণের জন্য ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও সড়ক না থাকায় জনগণের অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। বারবার কর্তৃপক্ষে তাগিদ দিলেও সড়ক নির্মাণ হয়নি। আশা করি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হামকুড়িয়া গ্রামের এই রাস্তার কাজ শুরু হবে।

এই বিভাগের আরো খবর