জাতীয়

হাপাতালগুলোর মানুষের আরো আস্থা অর্জনে কাজ করা প্রয়োজন- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

সময়ের চিত্র ডেস্ক: 

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। এর সুফল যেন সাধারণ মানুষ পায় এবং ডাক্তার ও হাসপাতালের ওপর যাতে মানুষ আরো আস্থা স্থাপন করতে পারে সেজন্য এসবের সাথে যারা যুক্ত আছেন তাদের আরো কিছু কাজ করা প্রয়োজন।

শুক্রবার ট্টগ্রামের আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশকে একটি সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চাই। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবায় যুক্তদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে গত প্রায় ১৫ বছরে সরকারি বেসরকারি বহু মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছে। সারাদেশে প্রায় ১২ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে, প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩০ প্রকারের ঔষধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। এটি আশপাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ কোথাও নেই। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসব কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপিত হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে বিধায় স্বাধীনতার পর আমাদের গড় আয়ু যেখানে ছিল ৩৯ বছর সেটি এখন ভারত পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে ৭৩ বছরে উন্নিত হয়েছে।’

 

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ডাক্তাররা অনেক মেধাবী। কিন্তু বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের অতিরিক্ত মুনাফা লাভের প্রবৃত্তি আমাদের চিকিৎসাসেবা এবং ডাক্তারদের উপর আস্থাহীনতা তৈরি করছে এবং সাধারণ মানুষকে প্রচন্ড ভোগাচ্ছে। অনেক সময় শোনা যায়, রোগীকে আইসিইউতে দেয়ার প্রয়োজন নেই, তবু দিয়ে রেখেছে। রোগী এমনিতেই মৃত্যুবরণ করবে, সেটাকে লাইফ সাপোর্টে দিচ্ছে। এরকম অহরহ ঘটনা শুনতে পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ও ভূমিকা রাখতে পারে। এব্যাপারে সবচেয়ে প্রয়োজন সদিচ্ছার।’

 

এ সময় বহির্বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে জি-২০ সম্মেলনে যাচ্ছেন। জি-২০’র বর্তমান প্রেসিডেন্ট হচ্ছে ভারত। এই উপমহাদেশ থেকে আর কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

 

মন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী আসবেন। কয়েকদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের বহুমুখী সহযোগিতা এবং বহুমাত্রিক সম্পর্কের প্রমাণ হচ্ছে তাদের সাথে আমাদের নিরাপত্তা সংলাপ।’

 

ডেঙ্গু বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, দুর্মুখেরা বলে ডেঙ্গু যেমন মারাত্মক, বিএনপি তার চেয়েও মারাত্মক। এডিস মশা কামড়ায় আর বিএনপি মানুষ পোড়ায়। অনেক ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর চেয়ে বিএনপি মারাত্মক। তারা এখন ডেঙ্গু নিয়েও অপপ্রচার শুরু করেছে।

 

তিনি বলেন, বিএনপির কথায় মনে হচ্ছে এডিস মশার জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী। মশা আওয়ামী লীগ, বিএনপি চেনে না। আমাদের সরকার ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং জনগণের সচেতনতায় আমরা ডেঙ্গুকে সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারবো, যেভাবে করোনাকে মোকাবেলা করেছি।

 

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খাঁন, ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ মোরশেদ হোসেন এবং অধ্যক্ষ প্রফেসর অসীম বড়ুয়া।

সুত্র: পিআইডি‌।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button