সেই সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী হত্যার রহস্য উদঘাটন, প্রেমিক মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার
জসিম উদ্দিন সরকার, মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামের সেই সৌদি আরব প্রবাসী ফাহাদের স্ত্রী তানিয়া আক্তারকে (২২) হত্যা করা হয়েছে বলে জানাগেছে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। সিংগাইর থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮নভেম্বর) মধ্যরাতে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তানিয়া আক্তারের প্রেমিক মাদ্রাসা শিক্ষক মাহদী হাসানকে (৩১) গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশের কাছে প্রেমিক মেহদী হাসান হত্যার কথা স্বীকার করেন।
গ্রেফতারকৃত মাহদী হাসান কিশোরগঞ্জের কুরিয়ারচর থানার কৌতেরকান্দি এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে। তিনি ঢাকার কামরাঙ্গীরচর রিয়াদ উল জান্নাত দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।
নিহত গৃহবধু তানিয়া আক্তার সিংগাইরের বায়রা ইউনিয়নের বাড্ডা এলাকার সৌদি প্রবাসী ফাহাদ দেওয়ানের স্ত্রী।
পুলিশ জানান, স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে গৃহবধু তানিয়া আক্তারের সাথে মোবাইলের মাধ্যমে মাদ্রাসা শিক্ষক মাহদী হাসান বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু গৃহবধু তানিয়া আক্তার মাহদী হাসান ছাড়াও একাধিক পুরুষের সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং বিষয়টি জানতে পেরে গৃহবধু তানিয়াকে শাসন ও নিষেধ করেন মাহদী হাসান। এরপরও মাহদী হাসানের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গৃহবধু তানিয়া একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্ক চালিয়ে যায়। পরে মাহদী হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে গত সোমবার রাতে তানিয়া আক্তারের সঙ্গে দেখা করতে কেক নিয়ে তানিয়ার শ্বশুড় বাড়ি যায়। পরে কৌশলে গৃহবধু তানিয়াকে বাড়ির বাথরুমের কাছে নিয়ে যায় এবং সেখানে তানিয়াকে মারধর করে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে এঘটনায় নিহতের বাবা আবুল হোসেন বাদি হয়ে সিংগাইর থানায় একটি মামলা করেন।
সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর জানান, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মাহদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। গ্রেফতারের পর মাহদী হাসান গৃহবধু তানিয়া আক্তারকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে প্রবাসী স্বামী ফাহাদের বাড়ির বাথরুম থেকে তানিয়া আক্তারের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি বায়রা ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে।