Uncategorized

সুন্দরগঞ্জে রোপন কৃত ধান বিনষ্ট, বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প ভাংচুর

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সীচা গ্রামে আ: খালেকগং কর্তৃক আ: জলিলের প্রায় ৩ বিঘা জমিতে রোপন কৃত ধানের চারা বিনষ্ট করা এবং বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প ঘর ভাংচুর সহ মোটর লোপাটের ঘটনা ঘটেছে।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আ: জলিলগং ও আ: খালেকগংদের মাঝে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।

অভিযোগে প্রকাশ, নালিশী জমি দুলাল মৌজার জেএল নং-৭৮,আরএস খতিয়ান নং-৩৯২,দাগনং-৬৫২৭ জমি ২৬ শতাংশ। সীচা মৌজার জেএল নং-৭৭,ডিপি খতিয়ান নং-১৩১৭,দাগ নং-২৭৫০ জমি ২৫ শতক ও ২৭৫১ দাগে ২৪ শতক মোট জমি ৭৫ শতক উক্ত জমি আ: জলিলগং দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। তবে ০৯-০২-২৩ বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১০ টায় আ: খালেকগং নালিশী জমিতে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভাড়াটে জনবল সহ আ: জলিলের রোপনকৃত ধানের চারা নষ্ট করে। সেই সাথে আ: জলিলের বৈধ সেচ পাম্প ঘর ভাঙ্গচূর করে এবং মোটর এবং বৈদ্যুতিক মালামাল লোপাট করে নিয়ে যায়। বাসায় জনবল না থাকায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে খালেকগংদের সন্ত্রাসী কায়দায় বাধা দিতে পারি নাই বলেন আ: জলিল।

স্থানীয় বাসিন্দা আফজাল হোসেন জানান, জমি নিয়ে বিরোধ থাকতে পারে, এর সমাধানও হবে।তবে সেচ পাম্প ভাঙ্গচূর করে অন্যদের চাষাবাদ হুমকির মুখে ফেলে দেওয়ার দরকার ছিল না। এই সেচে আমার প্রায় ২ বিঘা জমি আছে। পানি না পেলে কিভাবে আবাদ করবো এমন বক্তব্যে যেন আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে তার।

প্রতিবেশী সালমা বেগম বলেন, এখানে আ: খালেকদের কোন জমি নাই। এই মটর দিয়ে আমার ১৭ শতক জমিতে পানি দেই। আমার চাষাবাদ কেমনে হবে।

রোপন কৃত ধানের চারা নষ্টের বিষয়ে আ: খালেকের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

সচেতনমহল বলছেন, পারিবারিক কোন্দল যাতে সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তবে পুলিশ প্রশাসনের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ভুক্তভোগী পাবে তার সঠিক বিচার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন
Close
Back to top button