খুলনা টাইগার্সের সঙ্গে চুক্তি করেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে মাঠে নেমে বিতর্ক তৈরি করা পাকিস্তানি বোলার নাসিম শাহ নিজের জাত চেনালেন। ৪ ওভার বল করে ১২ রান দিয়ে তিনি প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছেন ঢাকার ৪ ব্যাটসম্যানকে।
পাকিস্তানি ডানহাতি পেসার নাসিম শাহ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলার জন্য তিনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন খুলনা টাইগার্সের সঙ্গে। কিন্তু খেলতে এসেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে। তাকে পেতে কুমিল্লা কেন মরিয়া ছিল, সেটা এবার বোঝা গেল।
পাকিস্তানি ডানহাতি পেসারকে নিয়ে দুদিন আগে যে নাটক হয়েছে তাতে সোমবারের ম্যাচে সবার চোখ ছিল নাসিমের দিকে। আর বল হাতে নিজের কদরটাও এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
নাসিমের আগুন ঝরানো বোলিং-এ কূপোকাত হয়েছে ঢাকা ডমিনেটরস। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১২ রান দিয়ে তিনি প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছেন ঢাকার ৪ ব্যাটসম্যানকে।
১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নাসিমের বোলিং তাণ্ডবে ঢাকা থেমে যায় ১০৪ রানে। এর মধ্য দিয়ে টানা ছয় ম্যাচ হারের স্বাদ নিতে হলো ঢাকা। ৭ ম্যাচে টানা চার জয়ে পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে কুমিল্লা।
ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভার করতে এসে পঞ্চম বলে সাফল্য পান নাসিম। ফেরান ঢাকার ওপেনার মিজানুর রহমানকে। এরপর একে একে নাসুমের শিকার মোহাম্মদ মিঠুন, মুক্তার আলী ও তাসকিন আহমেদ। তাদের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
দারুণ মৌসুম কাটানো অধিনায়ক নাসির থামেন ১৭ রানে। নাসিরের সঙ্গে ১১ রান করা আরিফুল হককে নিজের শিকার বানান খুশদিল শাহ।
সৌম্যর ব্যাট থেকে আসে ৩ রান। তিনে নেমে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ওসমান গনি। তবে তার ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিং কাজে লাগেনি। অপর প্রান্তে উইকেট হারাতে থাকা ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে থামে ১০৪ রানে।
এর আগে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ভালো শুরু পেয়েছিল ঢাকা। আল আমিন হোসেনের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন ৩ রান করা মোহাম্মদ রিজওয়ান। নাসিরের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে আরিফুল হকের তালুবন্দি হন লিটন। ২০ বলে ২০ রান করে তিনি ফিরলে ইমরুল ও জনসন চার্লস মিলে দলকে পঞ্চাশের ঘরে নিয়ে যান।
তবে হামজার বল লাইনের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ইমরুল। ২২ বলে ২৮ রান করে ফিরেছেন অধিনায়ক। দলীয় ১০০-এর আগে মোসাদ্দেকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৩২ করে রান আউট হন চার্লস। খুশদিল ১৭ বলে ৩০ করে আউট হলে কুমিল্লার ১৫০ ছোঁয়ার পথটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
শেষ দিকে জাকের আলীর ১০ বলে ২০ ও আবু হায়দার রনির ৮ বলে ১১ রানের দুটি অপরাজিত ইনিংসে ১৬৪ করে কুমিল্লা। ১৯ রান নিয়ে ২ উইকেট নেন নাসির।