দেশ

সাভারের শতাধিক পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: 
গত ২৩ অক্টোবর থেকে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করে আসছেন। এরপর সরকার নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করলেও শান্ত না হয়ে উল্টো আবারও আন্দোলনে নামে কয়েকটি কারাখানার শ্রমিকরা। বাধ্য হয়ে আশুলিয়ায় শতাধিক পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (১১ নভেম্বর) সাভারের বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ পোশাক কারখানার গেটে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে কারখানা বন্ধের নোটিশ।

নোটিশে বলা হয়েছে, ৯ নভেম্বর সকাল ১০টায় এবং বিগত কয়েকদিন ধরে বেলা ১১টা ও বিকেল ৩টার সময় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বহিরাগত পোশাক শ্রমিকরা বে-আইনিভাবে কারখানার ভেতর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে কারখানা ভাঙচুর ও কারখানার কাজ বন্ধ রাখাসহ কর্মস্থলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এতে কারখানার উৎপাদন কাজ মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়। এমতাবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ১০ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করল।

এদিকে, কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়ার বিষয়টি শ্রমিকদের মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়েও জানিয়ে দিচ্ছে অনেক কারখানা কর্তৃপক্ষ।

টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর ও জিরাবো-বিশমাইল সড়কের কাঠগড়া আমতলা, বড় রাঙ্গামাটিয়ার বন্ধ ঘোষণা করা কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে- দি রোজ ড্রেসেস লিমিটেড, দ্যাটস্ ইট স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড, অনন্ত গার্মেন্টস লিমিটেড, হা-মীম, শারমীন, পাইওনিয়ার লিমিটেড এবং জিরাবো-বিশমাইল সড়কের এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড, ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আগামী এ্যাপারেল লিমিটেড, ক্রোসওয়্যার লিমিটেড, সেইন এ্যাপারেলস লিমিটেড, টেক্সটাউন লিমিটেড, অরনেট নীট গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ প্রায় শতাধিক পোশাক কারখানা।

শ্রমিকরা বলছেন, শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে। আমাদের মোবাইলে এ সংক্রান্ত মেসেজ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কারখানার গেটে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের অনেকেই কারখানায় সকালে গিয়ে নোটিশ দেখে ফিরে এসেছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ যে আইন দেখিয়ে ছুটি ঘোষণা করেছে, সেই আইনে কারখানা যতদিন বন্ধ থাকবে ততদিনের বেতন পাবে না শ্রমিকরা।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের মুখে প্রায় শতাধিক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন। আমাদের কারখানা কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে কোনো চিঠি দেয় নি। তবে বিভিন্নভাবে আমরা বন্ধের খবর পেয়েছি। অন্যান্য দিনের মত আজও আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button