সময়ের চিত্র ডেস্ক:
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের আয়োজনে দক্ষিণ এশিয়ার নির্বাচন ব্যবস্থাঃ প্রেক্ষিত বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন” শীর্ষক সেমিনার আজ ২৮ অক্টোবর শনিবার সকালে বারিধারা এসকট প্যালেস হোটেলে ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলীর
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এস ওয়াই কোরাইশি, মালদ্বীপ নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ফুয়াদ তৌফিক, শ্রীলংকা নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আরএমএএল রথনায়েক, নেপাল নির্বাচন কমিশনের কমিশনার সাগুন শামসের জেবি রানা, নেপালের নির্বাচন কমিশনার মিসেস ইলা শারমা, ঢাকায় নিযুক্ত মালদ্বীপের
মাননীয় হাই কমিশনার মিসেস শিরুজিমাথ সামির, শ্রীলংকান ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার মিসেস রুয়ানতি দিপাতিয়া, ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিউ টিটু এল অসান জেআর, ঢাকায় অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাসের প্রতিনিধি মি. ওলেগ কোজিন অ্যাটাচি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। নাগরিক সমাজের পক্ষে সেমিনারে আলোচনা
করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক চৌধুরী, সুপ্রীমকোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান, ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবঃ শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানী লিঃ এর চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ এমরান জাহান, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ্যাডভোকেট আবুল হাসেম, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, মোবারকি গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ আনোয়ার মোবারকি, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালকবৃন্দ যথাক্রমে- বুয়েটের উপ- উপাচার্য ড. আব্দুল জব্বার খান, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ।
সেমিনারে আলোচকগণ বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার বিকল্প নেই। সংঘাত, বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস ও জনদূভোর্গ সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের সমর্থন অর্জন করা সম্ভব নয়। সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হচ্ছে নির্বাচন ও ভোটাধিকার
প্রয়োগে সচেতন হওয়া। নির্বাচন ব্যতিত অন্য কোনো উপায়ে সরকার পরিবর্তন করতে চাইলে তা হবে গণতন্ত্র পরিপন্থী। অনেক সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নিবে কিভাবে ভোট হবে? কি ধরনের হবে? আর কারা দেশ পরিচালনা
করবে।
কুটনৈতিকদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য ভিয়েনা কনভেনশনের কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহিভূর্ত। কূটনৈতিকদের অযাচিত মন্তব্যের সুযোগ করে দিচ্ছেন এদেশের কিছু রাজনৈতিক দল। এতে জনগণের প্রতি রাজনীতিবিদদের আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং দেশের
সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হবে এটি আমাদের সকলের প্রত্যাশা।
নির্বাচন কমিশনের যে আইন ও বিধিমালা রয়েছে এর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে, এজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর স্বদিচ্ছা ও সহযোগিতা।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি।