নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি করণের চেয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর ব্যাপারে আন্তরিক সরকার। কোন কোন খাতে কী পরিমান তাদের ভাতা বাড়ানো যায় তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের সংখ্যা বিবেচনা করে যতটা সম্ভব সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর ব্যাপারে খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত হবে।
বুধবার (৯ আগস্ট) সংসদ ভবনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সাগুপ্তা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে ১৯তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জাতীয়করণের চেয়ে শিক্ষকদের আর্থিক বিষয়ে বেশি ভাবছে মন্ত্রণালয়। এমনটাই জানিয়েছে বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র।
বৈঠকে ১৮তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের সমস্যা ও সমাধানের অগ্রগতি এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (বিএসি) কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, সরকার পর্যায়ক্রমে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের জাতীয়করণের বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয়করণের বিষয়ে যৌক্তিকতা, কার্যকর নীতিমালা তৈরি, আর্থিক সংশ্লেষ এবং সরকারের সক্ষমতা যাচাই করে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া এটি একটি নীতিনির্ধারণী বিষয় হওয়ায় বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এসব প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাগুফতা ইয়াসমিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কমিটি বৈঠকে জাতীয়করণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সরকার জাতীয়করণের চেয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর ব্যাপারে আন্তরিক। কোন কোন খাতে কী পরিমান তাদের ভাতা বাড়ানো যায় তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের সংখ্যা বিবেচনা করে যতটা সম্ভব সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেছেন। তবে আমরা দেখেছি জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভালো ফলাফল করেছে। নিশ্চয়ই সিদ্ধান্ত যাই হোক সাবেক বিষয়টি বিবেচনা করে নেয়া হবে।
বৈঠকে কমিটির সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মো. আব্দুল কুদ্দুস, ফজলে হোসেন বাদশা, আব্দুস সোবহান মিয়া, এম এ মতিন এবং গোলাম কিবরিয়া টিপু, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয়সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।