আমি চোখের ডাক্তার। গতকাল থেকে গলার আওয়াজ নেই বললেই চলে।জরুরি ভাবে নাক,কান,গলা বিশেষজ্ঞ দেখালাম ।উনি আমাকে উপদেশ করলো পুরোপুরি বিশ্রামে থাকার জন্য। গত ১৫/০৩/২০২২ ইং তারিখ সকালে আমার একমাত্র ছেলের মারাত্নক জ্বর তার উপর ওর আম্মু ঢাকায়।দায়িত্ববোধের কাছে বাধ্য হয়ে হাসপাতালে গেলাম।
অনেক রোগী দেখতে বাধ্য হলাম।।এরই মাঝে চোখের নালী অপারেশন এর কারনে চোখের পানি পড়া কিন্ত বেশি কেতুর হয়না।রোগী ছেলে বয়স ২০ বছর কিন্তু উচ্চতা এতো ছোটো যে কেউ হয় হাসতে হাসতে কি করবে বুঝে উঠতে পারবেনা।বা কিংকর্তব্যবিমূর হয়ে যাবে আমিও কিছুখন চুপ থেকে রোগীর ইতিহাস অল্প কথা বলে জানলাম।
বাবা নেই। মা আর তিন বোন,রোগী ৪ নাম্বার সন্তান।তিন বোনের স্বাভাবিক আছে।এতো বাধার মধ্যেও এইচএসসি পাশ করেছে।আমাকে বিভিন্ন জন রোগীকে ঢাকাতে রেফার করতে বলেছেন। আমার শুধু এই রোগী নয় সব রোগীর উপরই অতিরিক্ত মায়া হয়!!কেনো হয় জানি না।
ভর্তি লিখে দিলাম কারন আজকের অপারেশন এর তারিখ আমারই ।ওটিতে রোগীর অপারেশন এর আগের ও পরের ছবি রোগীর অনুমতি নিয়ে তুললাম ও জীবনের এই প্রথম কোন রোগী নিয়ে ছবি তুললাম ও শেয়ার করলাম।
আমার কাছে যখনই কোনো রোগী অসহায় মনে হয় আমি আমার সর্বোচ্চ সেবা দিতে চেষ্টা করি। নিজের পকেটের টাকা খরচ হলেও কারন টাকা, গাড়ি, বাড়ি কিছুই মরনের পর নিজের সাথে যাবেনা যাবে নামাজ, রোজা, যাকাত,ভালো আমল,তাই সবার কাছে অনুরোধ আসুন আমরা সবাই আরো বেশি মানবিক হতে চেষ্টা করি।
