
আলমগীর খোরশেদ:
গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতী
বাইগার নদীর জলে মিতালি টুঙ্গিপাড়া গ্রাম,
সুপারি নারিকেল হিজলের ছায়ে
হেঁটে বেড়ায় মুজিব ফজিলাতুন্নেছার ঘরে
জন্ম নেওয়া মেয়ে শিশুটি।
সেদিন ছিল উনিশশো সাতচল্লিশের
আটাশ সেপ্টেম্বর, তেরো আশ্বিন রবিবার,
দাদা আদর করে নাম রাখলেন
শেখ হাসিনা, সবাই ডাকে হাসু বলে,
কৈশোরে গাঁয়ের ধুলো বালি মেখে
বৈঁচি ফল খুঁজতো কোমল মনা হাসু,
টুঙ্গিপাড়ার কেরালকোপা পাঠশালায়
ভর্তি হয়ে শুরু শিক্ষার হাতেখড়ি,
তারপর সাত বছর বয়সে পরিবারের সাথে রাজধানী ঢাকার মোগলটুলি রজনীবোস লেনে,
টিকাটুলি নীলানাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি
শুরু হয় গ্রাম ছেড়ে শহুরে জীবন,
আজিমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে
শুরু হয় বাবা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত
রাজনীতির পথে হেঁটে যাওয়া,
স্কুলে সহপাঠী বান্ধবীদের নিয়ে নিম্নমানের
টিফিনের প্রতিবাদ নেতৃত্বে হাসু,
পঁচাত্তরের পনেরো আগস্ট
স্বামীর সাথে জার্মানি থাকায়
বেঁচে যান দুইবোন, তা না হলে
জাতি দেখতো না, উন্নয়নের সফল বাংলাদেশ,
ছয় বছর প্রবাসী জীবন
জামার্নি থেকে ভারত।
একাশিতে জন্মভূমিতে পা রাখেন হাসু
জাতির ললাটে আঁকা পিতার রক্তঋণ,
কন্যা তার বিচক্ষণ দূরদর্শী জ্ঞানে
হয়েছেন বিশ্ব সেরা প্রধানমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি মানবতার জননী,
করোনায় পদক্ষেপ নিয়ে প্রসংশিত হয়েছেন
ঠাঁই পেয়েছেন বিশ্ববাসীর মনে বিশ্বনেত্রী হয়ে,
ছিয়ানব্বই, দুই হাজার আট, দুইহাজার চৌদ্দ,
দুই হাজার আঠারো, জাতির ম্যান্ডেট পেয়ে
হাসু হাল ধরেছেন পিতার সোনার বাংলা বিনির্মানে,
উন্নয়নের মাইলফলক, মানবতার জননী, বঙ্গত্তোম শেখহাসিনা দেশকে নিলেন উন্নয়নশীল কাতারে।
বঙ্গবন্ধু– শেখ হাসিনা
দুজনেই শিশু বান্ধব কোমল মনা,
আগামী দিনের কান্ডারি আজকের শিশুরা,
তাদের বুঝাতে হবে, শিখাতে হবে, বঙ্গবন্ধু কে ?
ভাষা, দেশ, মাটির টান ,স্বাধীনতা, জাতির পিতার অবদান, মানবতার জননী কে?
রুখতে হবে ইতিহাস বিকৃতি, পিতা ও কন্যার আদর্শের পথ ধরেই হেঁটে যাবে আজকের প্রজন্ম
শিশুদের ভাবনায় জেগে থাকবেন
হাসু আপা, প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,
আজ তাঁর সাতাত্তরতম জন্মদিনে দিলাম
এনে শত বাগানের লাখো গোলাপের
ফুলেল শুভেচ্ছা।………..
জননেত্রী শেখ হাসিনা’ র ৭৭তম জন্মদিন সফল হোক।
দেশের সব বাগানের লাল গোলাপে ফুলেল হোক তাঁর জন্মদিন।
আলমগীর খোরশেদ
সভাপতি
“শিশু মনে শেখ হাসিনা”