আল আমিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,এফ,এম আবু সুফিয়ান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীতে দুই প্যাকেজে পাঁচটি খেয়াঘাট রয়েছে। উপজেলা পাঁকা ইউনিয়নের লক্ষীপুর, নিউ পদ্মা, পাঁকা ও উজিরপুর এবং মনোহরপুর এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন,এতে শুকনো মৌসুমে টোল ফ্রি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
টোল আদায়ের তালিকা ঘাটে টাঙানোর নিয়ম থাকলেও তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছেমত আদায় করছেন ইজারাদাররা। সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ- যদি কেউ মারা যায়, সে মরদেহ এপার থেকে ওপারে অথবা চরাঞ্চল থেকে শিবগঞ্জে জেতে হাজার হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি ইজারাদারদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন চরাঞ্চলের শতশত মানুষ। ১৯ ফেব্রুয়ারি শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপি এই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
টোল আদায় মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পদ্মার ভাঙনের কারণে চরাঞ্চলের মানুষকে প্রতি বছর বসতবাড়ি এক জায়গায় হতে অন্য জায়গায় নিয়ে জেতে হয়, এসব ভাঙা বাড়ী নদীর এপার ওপার করতে ইজারাদারদের বাধ্যতামূলক দিতে হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। টাকা না দিলে কোন ঘাট পার হওয়া যায় না। এমনকি চাহিদামতো টোলের টাকা পরিশোধ না করতে পারলে আটকে রাখা হয় ভাঙা বাড়ীর মালামাল। একদিকে বার বার বাড়ী ভাঙ্গতে গিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ, অপর দিকে সাংঘাতিক হয়ে দাঁড়িয়েছে ইজারাদারদের টোল আদায়।
চরাঞ্চলের বাসিন্দারা বলেন, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউওনও) এ, এফ, এম, আবু সুফিয়ান স্যার আমাদের কষ্টের দিকে তাকিয়ে দ্রুর্ত ব্যবস্থা নিয়ে টোল মুক্ত করে দিয়েছেন এতে আমরা অনেক আনন্দিত।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ, এফ, এম, আবু সুফিয়ান বলেন, উপজেলা পাঁকা ইউনিয়নের আমাদের পদ্মার পাঁচটি ফেরিঘাট আছে, সেখানে অতিরিক্ত টোল আদায়ের সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি, আমরা জণগণের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে পূর্ণাঙ্গ টোলরেট প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সেটি প্রকাশ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইতিপূর্বে যে টোল রেট ছিল সেখান থেকে কমিয়ে জণগণের জন্য সুবিধা হয় সেভাবে টোলরেট দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি জণগণের দীর্ঘদিনের যে দাবি যখন শুকনো মৌসুমে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং নদী শুকিয়ে যায় তখন যেন টোলরেট কমানো হয় বা আমরা জণগণে সুবিধার কথা চিন্তা করে শুকনো মৌসুমে টোল ফ্রি করে দিয়েছি। এতে মানুষ এবং পণ্য পারাপারের ক্ষেত্রে শুকনো মৌসুমে কোন টোল দিতে হবে না, আশা করি চরাঞ্চল জণগণের উপকৃত হবে।