নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবির বিষয়ে বৈঠক করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থী মো. জাবেদ ইকবাল।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিনিধিরা তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ হাসান ও শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম আমিনুল ইসলামের সঙ্গে আলোচনা করার কথা রয়েছে। এজন্য তারা এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গেছেন। আলোচনার পর আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
জাভেদ ইকবাল বলেন, ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- মাহমুদ হাসান মুক্তার, মোশাররফ রাব্বি, নেয়েক নূর মোহাম্মদ, আব্দুল হামিদ, নূরুদ্দিন জিসান, মতিউর রহমান জয়, জাহাঙ্গীর সানি, মেহেদী হাসান মাল, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ বেল্লাল, আল নোমান নিরব, হাবিবুল্লাহ রনি, মো. তোয়াহা ও কাউসার।
এর আগে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের ভেতরে মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
তিতুমীর কলেজ ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কলেজের মূল ফটকের ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সকালে পুলিশ ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করলেও পরে শিক্ষার্থীদের আপত্তির মুখে তারা বাইরে অবস্থান নেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে পুলিশের প্রবেশ নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দিতে শোনা যায়। একইসঙ্গে রাওয়া ক্লাবের সামনে থেকে মহাখালী রেলগেট পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নিয়েছেন সেনাবাহিনীর শতাধিক সদস্য।
এর আগে গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে এসে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই অবরোধ চলে। কিছু সময়ের জন্য উঠে গিয়ে তারা ফের কলেজের সামনের সড়কে বসে পড়ে। সেখান থেকে কলেজ ক্লোজডাউন ঘোষণা করে মঙ্গলবারও অবরোধ কর্মসূচি দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো-
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে ৭ কলেজ থেকে তিতুমীর কলেজকে পৃথক (আলাদা) করতে হবে।
২. তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের লক্ষ্যে কমিশন গঠন করতে হবে।
৩. তিতুমীরকে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।