শরণার্থী শিবিরে হামলা,নারী-শিশুসহ ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রোববার (১০ মার্চ) গাজার দেইর আল-বালাহ শহরের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের এ হামলা চালায় ইসরায়েল। খবর আল-জাজিরা’র।
এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকা জুড়ে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে,নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে কমপক্ষে ১৫ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে এবং রাফাহতে একটি আবাসিক টাওয়ার ধ্বংস করেছে। সিভিল ডিফেন্স ক্রুরা এখন ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে হতাহতদের উদ্ধার করতে কাজ করছে। মৃতের সংখ্যা এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে গাজার দক্ষিণে খান ইউনিসে ইসরায়েল বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং ইসরায়েলি বাহিনী হামাদের আশপাশে বেশ কয়েকটি আবাসিক টাওয়ারকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার আরেকটি শরণার্থী শিবিরে হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮৩ জন নিহত এবং আরও ১৪২ জন আহত হয়েছেন। অনেক ভুক্তভোগী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। সব মিলিয়ে টানা ৫ মাসের ইসরায়েলি হামলা ও অভিযানে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

এই বিভাগের আরো খবর