লালমোহনে ব্যবসায়ীর দুই পা ভেঙ্গে দিলো সন্ত্রসীরা

ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার লালমোহন উপজেলায় জসিম হাওলাদার (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে তার দোকান থেকে তুলে নিয়ে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে ।

রবিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১১ টায় লালমোহন উপজেলার লালমোহন বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুত্ব আহত জসিম হাওলাদার উপজেলার চরভুতা ইউনিয়ন এর হরিগঞ্জ গ্রামের পান্নু হাওলাদার বাড়ির কাদির হাওলাদারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, ব্যবসায়ী জসিম হাওলাদাকে এক দল সন্ত্রাসী দোকান থেকে তুলে নিয়ে উপজেলার হেলিপোর্টে হাত পা বেধে এলোপাতাড়ি মারধর করে এতে তার দুই পা ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জখম হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য নিয়ে আসেন। আহত জসিম হাওলাদারের অবস্থার অবনতি হলে ভোলা সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে আহত ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিনের মতো আমি আমার দোকানে গিয়ে বেচা বিক্রি করতেছিলাম। দুপুর সাড়ে ১১ টার সময় হঠাৎ করে আমার দোকানে নুরে আলম, ফকরুল সহ১০-১২ জন লোক আইসা আমার কলার ধরে উছকাইয়া নিয়া গেছে। আমার হাত ও মুখ বাইন্ধা প্রথমে ওয়েস্টার্ন পাড়া পরে হেলিপোর্টে একটা বদ্ধ স্কুলঘরে রড ও জিআইপাইপ দিয়ে দুই পাসহ শরীরের বিভিন্ন যায়গায় বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা ২০২১ সালের আগ থেকে নৌকার পক্ষে কাজ করে আসছি।তখন আমরা অনেক অত্যচারের মুখে পরেছি।আমাদের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন ভাই নৌকায় জয় পাওয়ার জন্য আমরা মাঠে কাজ করে গেছি। কিন্তু আমাদের এমপি সাব ক্ষমতায় আসার পরে লালমোহনের কিছু চিন্তিত বিএনপির কেডার বাহিনীকে আওয়ামীলীগ দলে ডুকাইয়া পদ দিছে। এই বিএনপির কেডাররা যখন দলে আইছে তখন আমাদের দূরে সরাইয়া দিছে। আমরা এখন দিন আনি দিন খাই। কিন্তু এই বিএনপির লোকেরা এমপির কাছে গিয়া বলছে আমরা নোমান ইন্জিনিয়ারের সাপোর্ট করি। এমপি শাওন ভাইর কথায় বিএনপির কেডার বাহিনীর লোকেরা আজ দুপুরে আমার উপর এই হামলা করছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার হামলার বিচার চাই।

আহত জসিম হাওলাদারের ছেলে বলেন, দুপুর ১২ টার দিলে আমাকে বাজার থেকে ফোন দিয়ে লোকজন জানায় আমার বাবাকে কারা যেনো কালো গাড়িতে করে তুলে নিয়ে গেছে। এই খবর পাওয়ার পরে আমি থানায় বিষয়টি জানাই। কিন্তু থানা থেকে বলা হয় আমরা কিছু জানি না।পরে আমাকে আবার ফোনে জানানো হয় আমার বাবাকে অচেনা অবস্থায় হেলিপোর্ট এলাকায় ফেলে রাখা হয়েছে। আমরা আমার বাবার উপর হামলার বিচার চাই।

তবে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান জানান, প্রতিদিন পারিবারিকভাবে নিজেদের মধ্যে মারামরির অনেক ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়টি থানায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এই বিভাগের আরো খবর