দেশ

লালমোহনে জেলেদের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ 

বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন সদর ইউনিয়নে জেলেদের মধ্যে বিশেষ ভিজিএফের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান ও প্যানের চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে। জনপ্রতি ৪০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে ২৫ থেকে ২৮ কেজি করে বিতরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলেরা। শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এ চাল বিতরণ করা হয়। উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জাটকা ইলিশ শিকার বন্ধে সরকার দেশের সব উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে ছোট ফাঁসের জাল দিয়ে মাছ ধরার ওপর গত ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত টানা আট মাস জাটকা শিকার, পরিবহণ ও বিক্রির ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে জাটকা শিকার বন্ধকালীন সরকারি খাদ্য সহায়তা হিসাবে প্রতি মাসে জেলেপ্রতি ৪০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়। নিষেধাজ্ঞাকালীন নদ-নদীতে কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জাল, খুটা জাল, ভোগ জাল ও মশারি জাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। ফলে নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলেরা অন্য কোনো মাছও ধরতে না পারায় তাদের মাঝে এ সহায়তার চাল বিতরণ করা হয়। সে অনুসারে লালমোহন ইউনিয়নের ৩৯৪ জন জেলের মাঝে ১৫.৭৬০ টন খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণ করা হয়। জেলেরা অভিযোগ করেছেন, জেলে প্রতি ৪০ কেজির স্থলে ২৫ থেকে ২৮ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। তবে চেয়ারম্যানের দাবি, প্রত্যেক জেলেকে নিয়ম মেনেই তারা চাল দিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সুবিধাভুগী জেলেরা অভিযোগ করেন, তাদেরকে ৪০ কেজি চাল না দিয়ে ৩০ কেজির এক বস্তা চাল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা চাল মেপে দেখেন প্রতি বস্তাতে ২৫ থেকে ২৮ কেজি করে চাল দিয়েছেন। চাল কম দেওয়ার বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান চৌকিদার দিয়ে জেলেদের বিভিন্ন ভাবে হেনেস্তা করেন এবং চাল না দিয়ে ফিরিয়ে দেন। তারা আরো অভিযোগ করেন, নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত ৮ মাসের জেলের চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও তাদেরকে গড়ে ৪ থেকে ৫ মাসের চাল দিয়ে কয়েক মাসের চাল কাগজে কলমে বিতরণ দেখিয়ে উপজেলার খাদ্য অফিসকে ম্যানেজ করে বিক্রি করে দেন চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান।

তারা অরো অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান অধিকাংশ সময় ঢাকা থাকার কারণে প্যানেল চেয়ারম্যান জেলেদের কাছে চাল আনা নেওয়ার ট্রাক খরচের কথা বলে জন প্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আদায় করে নেন।

এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটি সত্য নয়। কেউ যদি আপনাদের কাছে অভিযোগ করেন তা হলে কিছুই বলার নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button