জাতীয়

লন্ডন প্রবাসির বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:  লন্ডন প্রবাসি ও তার পরিবারকে বায়োফার্মার ডিএমডি ও তার লোকজন মিথ্যা মামলায় হয়রানী করছেন। এছাড়া প্রবাসির ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে একই দিন ভুয়া মামলা ও গ্রেফতারি পরোনার ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানার গুনগতি গ্রামের লন্ডন প্রবাসির মা মনোয়ারা বেগম সংবাদ এ অভিযোগ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মনোয়ারার পুত্রবধু হাজেরা আক্তার, গুনগতি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ভিপি আবুল খায়ের, তাদের আত্মীয় মাহমুল্লাহ ও শফিকুর রহমানসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে মনোয়ারা বেগম বলেন, বায়োফার্মার লিমিটেডের ডিএমডি ডা. লকিয়ত উল্লার আক্রোশের শিকার হয়ে আমার প্রবাসি ছেলেকে হয়রানী করা হচ্ছে। আর আমার ছোট ছেলে হুমায়ূনের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। তারা লন্ডন প্রবাসি জাহান কবির শিপন ও তার ছোট ভাইয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি দখল করতেই চক্রান্তের অংশ হিসেবেই এসব মামলা করেছে। এছাড়া ডা: লকিয়ত উল্লাহর ভাড়াটে বাহিনী দিয়ে রাস্তাঘাট হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তাদের চক্রান্তের কারণে প্রবাসি শিপন দেশের আসতে পারছেন না। আর ছোট ছেলে হুমায়ূন কবিরের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে জেলখানায় পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, আমার বড় ছেলে জাহান কবির শিপন ২০০৮ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য লন্ডনে যায়। সেখানে পড়াশোনা শেষে নিজেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এরপর দেশে এসে বিয়ে করে তার স্ত্রীকে লন্ডনে নিয়ে যায়। গত ১৫ বছরে সে দেশে কয়েক কোটি টাকা রেমিটেন্স পাঠিয়েছে।গত ২০২০ সালে আমার স্বামীর পূর্ব পরিচিত ছাত্র ডা. লকিয়ত উল্লাহ আমাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর কিছুদিন পর তার স্ত্রীর ক্যান্সারে চিকিৎসা নামে স্ত্রীসহ তিনি লন্ডনে যান। সেখানে আমার ছেলে শিপনের বাসায় ৮/ ১০ দিন অবস্থান করেন। সেখানে থাকা খাওয়া ও তার স্ত্রীর চিকিৎসার ব্যয় আমার ছেলে করেছেন। এসময় তাদেরকে অন্য বাসা অথবা হোটেল ভাড়া নেওয়ার কথা বললে তারা অপরাগতা প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে উল্টো তার ছেলের ভাড়াকরা ও বায়নাকৃত বাড়িটি ছেড়ে দিতে বলেন। একপর্যায়ে আমার ছেলে জানতে পারেন যে, ডা. লকিয়ত উল্লাহ তার লন্ডনে এসাইলাম ক্লেইম বা রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেছেন। ওই আবেদনে তিনি নিজেকে জামাত নেতা দাবি করেছেন। আর বাংলাদেশে তার ও তার স্ত্রী সন্তানদের জীবনের ঝুকির কথা উল্লেখ করা হয়। একপর্যায়ে শিপন উপায়ন্তর না পেয়ে অন্য একটি বাসা ভাড়া নিয়ে মালামালসহ সেখানে উঠেন। এরপর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ২০২২ সালে এক মাসের ছুটি নিয়ে দেশে আসেন। এসময় ট্রানজিটের সময় বাহরাইন এয়ারপোটে তাদেরকে হয়রানী করানো হয়।sa সেখান থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাদেরকে বিএনপি নেতা পরিচয়ে আটক করে হয়রানী করে। বিমানবন্দর থেকে ছাড়া পেয়ে গ্রামের বাড়িতে যান। আর তখনই তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানী করে। একপর্যায়ে পুলিশ তাদেরকে দেশ ছেড়ে লন্ডনে ফিরে যেতে বাধ্য করেন। পরে তারা লন্ডনে ফিরে যান। লন্ডন স্কুল কর্তৃপক্ষ ডা: লকিয়তের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মামলা করেন। ফলে ডা. লকিয়তের স্ত্রী দেশে ফিরে আসতে বাঁধা গ্রস্থ হয়েছে। এতে তিনি আরো ক্ষীপ্ত হয়ে তার বাহিনীর লোকজন দিয়ে টাকা পাওয়ার দাবি করে শিপনের ছোট ভাই হুমায়ূক কবিরের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী, স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ভ্ক্তুভোগির পরিবার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button