খেলাধুলা

মেসির গোলে আর্জেটিনার জয়

খেলাধুলা ডেস্ক:
লিওনেল মেসি যে আর্জেন্টিনা টিমে একাই একশ সে প্রমাণ আরেকবার রেখেছেন তিনি। ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে মিশন শুরু করেছে আলবিসেলেস্তারা। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামে তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাঠের এই ম্যাচে অধিনায়ক লিওনেল মেসির একমাত্র গোলে সফরকারী ইকুয়েডরকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে আর্জেন্টিনা। বুয়েন্স আয়ার্সের এস্টাডিও মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৭৮ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন মেসি। ট্রেডমার্ক ফ্রিকিক থেকে বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন সাতবারের ফিফা সেরা তারকা।

বাছাইপর্বের অন্য ম্যাচে কলম্বিয়া ১-০ গোলে ভেনিজুয়েলাকে হারালেও প্যারাগুয়ে সফরে গিয়ে স্বাগতিকদের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে দশজনের পেরু। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ম্যাচটা শুরু করেছিল চ্যাম্পিয়নদের মতোই। প্রথমার্ধে বল দখল এবং আক্রমণে ইকুয়েডর থেকে বেশ এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। যদিও এ অর্ধে আর্জেন্টিনার একটি শটও লক্ষ্যে ছিল না। বিরতির পর একদমই পাত্তা পায়নি সফরকারীরা। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয় আলবিসেলেস্তারা। তার ফল মেলে ম্যাচের ৭৮ মিনিটে। ফ্রিকিক আদায় করেন লাউটারো মার্টিনেজ। আর অসাধারণ দক্ষতায় গোল করেন মেসি। ম্যাচের ১৬ মিনিটে গোলের প্রথম সুযোগ পান খুদে জাদুকর। ডি বক্সের মধ্যে তার করা শট গোলপোস্ট ঘেঁষে রেখে বাইরে চলে যায়। বিরতিতে যাবার আগমুহূর্তে মার্টিনেজ বল নিয়ে ইকুয়েডরের পোস্টের একেবারে কাছে চলে এসছিলেন। কিন্তু তার শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

৬৯ মিনিটে ফের গোল করার চেষ্টা করেন মেসি। কিন্তু তার দুর্বল শট নিয়ন্ত্রণে নেন ইউকুয়েডরের গোলরক্ষক। এতে আরও একবার হতাশ হন মনুমেন্টালে উপস্থিত প্রায় ৮০ হাজার স্বাগতিক দর্শক। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাদের হতাশ করেননি মেসি। ম্যাচ শেষের ১২ মিনিট আগে গোল করে দলকে পাইয়ে দেন কাক্সিক্ষত জয়। এই গোল করে সাবেক বার্সিলোনা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসন ভাগাভাগি করে নিয়েছেন মেসি। দুজনই সমান ২৯টি করে গোল করেছেন। ম্যাচ শেষে রেকর্ডগড়া মেসি বলেন, ইকুয়েডর এটি প্রমাণ করেছে যে তাদের দলে খুব ভালো খেলোয়াড় আছে। তাদের শারীরিক সক্ষমতাও আছে এবং জানে কি করতে হবে। আমরাও জানি, দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে নিজেদের শতভাগ দিয়ে খেলতে হবে। এই দলটি দেখিয়েছে লক্ষ্য অর্জনের আগে কোনোভাবেই তারা নির্ভার হয় না। যা ঐতিহাসিক এবং অসাধারণ বিষয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button