জাতীয়

মাভাবিপ্রবিতে বাজেটে বরাদ্দ ৮৯ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা

জোবায়ের আহমদ, মাভাবিপ্রবি :

 

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৮৯ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকার বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মোট বাজেটের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ও বাংলাদেশ বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (বিমক) কর্তৃক অনুদান ৮২ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা।

পূর্ববর্তী অর্থবছর (২০২২-২০২৩) এ বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছিলো ৮২ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মোট বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.৭০%।

বাজেটে সবচেয়ে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা বাবদ সহায়তা খাতে। এই খাতে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৮.৮৮ শতাংশ। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এই খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল মাত্র ১৮ লক্ষ টাকা যা এই অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ লক্ষ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে অর্থাৎ বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে ৭ লক্ষ টাকা।

গবেষণা অনুদান বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০.৩০ শতাংশ যা ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ছিল ১ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। বর্তমান অর্থবছরে গবেষণা অনুদানে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা অর্থাৎ ৪০ লক্ষ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

পন্য ও সেবা বাবদ সহায়তায় (সাধারণ ও মেরামত) মোট বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮.০৬ শতাংশ। যা ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ছিল ১৬ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। বর্তমান অর্থবছরে (২০২৩-২০২৪) বরাদ্দ করা হয়েছে ১৯ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা অর্থাৎ ৩ কোটি ৫ লক্ষ টাকার বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে মেরামতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা যা পূর্ববর্তী বছর থেকে ৭৩ লক্ষ টাকা কম। সাধারন খাতে ১৭ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে যা পূর্ববর্তী অর্থবছর হতে ৩ কোটি ৬৮ লক্ষ ১ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বেতন বাবদ সহায়তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে ১১.০৫ শতাংশ যা ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ছিল ৩৩ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা। বর্তমান অর্থবছরে (২০২৩- ২০২৪) গবেষণা অনুদানে বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৭ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা অর্থাৎ ৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

যন্ত্রপাতি অনুদানে বরাদ্দ বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে ৭.৭২ শতাংশ যা ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ছিল ২ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা। বর্তমান অর্থবছরে (২০২৩- ২০২৪) গবেষণা অনুদানে বরাদ্দ করা হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা অর্থাৎ ১৯ লক্ষ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

নতুন বাজেটে যানবাহন বাবদ অনুদানে কোন বরাদ্দ রাখা হয়নি।

তবে পেনশন ও অবসর সুবিধা খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে ৩১.৫৭%। এই খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭৮ লক্ষ টাকা। যা গত অর্থবছরে ছিল ১ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা।

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি অনুদান খাতে মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮০ লক্ষ টাকা যা গত বছরে ছিল ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা অর্থাৎ ২৭.২৭ শতাংশ বরাদ্দ হ্রাস পেয়েছে।

 

অন্যান্য অনুদান খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৯১ লক্ষ টাকা এবং অন্যান্য মূলধন অনুদানে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪০ লক্ষ টাকা। এই বাজেটে শিক্ষার্থীপ্রতি ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ২৬৯ টাকা।

এই বাজেটে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বাবদ সহায়তায় বরাদ্দ সর্বোচ্চ বৃদ্ধি কেন জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, এক্সরে মেশিনের লজিস্টিক, প্যাথলজি সেন্টারের কেমিক্যাল ক্রয়সহ আমরা একটি চাইল্ড কেয়ার সেন্টার করতে চাচ্ছি।

তথ্য প্রযুক্তি বাজেট তুলনামূলকভাবে কম কেন জানতে চাইলে কোষাধ্যক্ষ বলেন, গত অর্থবছরে অটোমেশনের কাজ করায় বড় ইনস্টলমেন্ট ছিল। প্রথম বছরে বেশি লেগেছে। বাকি ৪ বছর কম অর্থ লাগবে। বাজেটের বরাদ্দ অনুসারে প্লান করে কাজ করলে অসুবিধা হবেনা। ইউজিসির সাথে আমি যোগাযোগ করেছি, তারা আশ্বস্ত করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button