মানিকগঞ্জে আইনজীবির বাড়িতে হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:

বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

ঈদুল আযহার রাতে মানিকগঞ্জের বেউথা এলাকায় এক আইনজীবির বাড়িতে ঢুকে ওই আইনজীবি ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করে গুরুতর জখম ও লুটতরাজ করে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী।

এরই প্রদিবাদে বুধবার (২৬জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।

বেউথার কড়ইতলা এলাকায় এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে স্থানীয় শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

জানা যায়, গত ঈদুল আজহার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল সন্ত্রাসী বেউথা এলাকায় মানিকগঞ্জ কোর্টের আইনজীবি মুরাদের বাড়িতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। হামলায় আইনজীবি মুরাদ ও তার বৃদ্ধ মা, চার বছরের শিশু, ভাই ও দুই ভাতিজাসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেসময় আইনজীবি মুরাদ ও তার ভাই মিজান জানান, মাদকসম্রাট হাসমতের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং এসএফ বয়েজ প্রধান আশিক, চিহ্নিত মাদক কারবারি সুজন, সন্ত্রাসী আমজাদ, নান্টু মিয়া,আব্দুর রহমান, আল আমিন, খোরশেদ, রাকিব হোসেন সোহেল, সজিব মিয়া ও জিসান মিয়া সহ প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন এ হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। একপর্যায়ে ঘরের ভেতর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করে নেয় তারা।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আইনজীবি মুরাদ হোসেন বাদি হয়ে গত ২০ জুন মানিকগঞ্জ সদর থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।

এসময় স্থানীয়রা হামলার সঙ্গে জড়িত হাসমত, আশিক, সজনসহ বাকিদের সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ অ্যাখ্যা দিয়ে বলেন, পবিত্র ঈদের রাতে একজন মানুষের বাড়িতে ঢুকে এমন হামলা ও লুটতরাজ ন্যক্কারজনক ঘটনা। অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছিল। কিন্ত প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ কারণেই তারা নির্বিঘ্নে বার বার এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সময়েরচিত্র/জ

এই বিভাগের আরো খবর