মাদারীপুর প্রতিনিধি :
মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীন বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। মঙ্গলবার রাত থেকে বৈরি আবহাওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম ছিলো। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বৃষ্টি থাকায় কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি খুব কম দেখা গেছে। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর থেকে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। পরে আবার বেলা ১টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় ভোটারের সংখ্যা কমে যায়। আবার আবহাওয়া ভালো হলে ভোটার সংখ্যা তুলনামূলক বৃদ্ধি পায়। ভোট গ্রহণ শেষে এখন চলছে ভোট গণনার কাজ।
জানা গেছে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে ভোট চলাকালে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বালিয়া সরকারী প্রাথমিক কেন্দ্রের বাইরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় বেশকিছু ককটেল বিষ্ফোরণ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়। আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান ও পুলিশ সুপার মাসুদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অন্যদিকে ঘটমাঝি ইউনিয়নের ছয়না ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া দুই উপজেলায় অন্য সকল কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকালের দিকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে শহরের আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে নারী ও পুরুষ দুটি ভোটন্দ্রের নারী ভোটকেন্দ্রটিতে প্রথম ১ ঘণ্টায় ভোট পড়ে ৭১টি। একই কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারদের প্রথম এক ঘণ্টায় ভোট পড়ে ১০৬টি।
এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দীপঙ্কর কর্মকার বলেন, ‘ভোর থেকে বৃষ্টি হয়েছে। ভোট শুরুর সময়ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই লোকজন কম এসেছে। বেলা বাড়লে ভোটার আসেন। পরে দেখা গেছে বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরে ভোটার সংখ্যা বাড়তে থাকে। সদর উপজেলার ১০টি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটার উপস্থিতি কম। বেশ কটি ভোট কেন্দ্রের সামনে পানি জমে ছিলো। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে বোঝা যাচ্ছে না। বৃষ্টির কারণে কম হতে পারে। পরে দেখা গেছে ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ভোট গ্রহণে অসুবিধা হয়নি। বেলা তিনটার পরে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তবে সকল জল্পনা কল্পনা শেষে বিকেল ৪টায় দুই উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ, ২০ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত ছিলো। এ ছাড়া সদর উপজেলায় ২৯টি ও রাজৈরে ১৪টি মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করেছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সদরে ৭টি স্টাইকিং ফোর্স ও রাজৈরে ৩টি কাজ করেছে। সদর উপজেলায় ৬ প্লাটুন বিজিবি ও রাজৈরে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও জেলায় গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও দায়িত্ব পালন করেছেন। ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিলো। ভোটাররা ভোট দিয়ে নির্বিঘেœ যাতে বাড়িতে পৌঁছতে পারে, সে ব্যাপারেও সতর্ক অবস্থানে ছিলো প্রশাসন
পরে পোষ্ট
এই বিভাগের আরো খবর