ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনার জন্য বাস চালককে আসামি করে মামলা

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনকে আসামি করে সড়ক আইনে (২০১৮) মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের এক এএসআই বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাত ১২টায় দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ঘাতক বাসটির চালক আল-আমীনকে।

এছাড়াও মামলার দ্বিতীয় ও তৃতীয় আসামি করা হয়েছে বাসটির সুপারভাইজার ও সহকারীকে। বাংলাবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. রিয়াজুল ইসলাম এ মামলার বাদী।

মামলার প্রধান আসামি আল-আমীন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশিভূষণ থানা এলাকার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং সুপারভাইজার ও সহকারী একই উপজেলার কর্তার হাট বাজার এলাকার বাসিন্দা।

ঘটনার পরপর পুলিশ বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুঞ্জের হাট বাজার এলাকা থেকে প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু বাসটির সুপারভাইজার ও সহকারী পালিয়ে গেছে। পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাংলাবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাকির হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পর শুক্রবার বিকেলে এএসআই রিয়াজুল ইসলাম বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার এক নম্বর আসামি ঘাতক বাসটির চালক আল-আমীনকে বিকেলে দৌলতখান থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এর আগে সে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের হেফাজতে ছিল।

এদিকে এ ঘটনায় দুই কলেজছাত্রীসহ ৩ জনের লাশ বিনা ময়নাতদন্তে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদেরকে দাফন করা হয়।

রোববার (১৯ মার্চ) ওই দুই কলেজছাত্রীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একদিনের শোক দিবস পালন করবেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে মধ্য জয়নগর এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে চরফ্যাশের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস নিহতদের বহন করা অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই কলেজছাত্রীসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অটোরিকশা চালক কাদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত নন।

এই বিভাগের আরো খবর