ভোলায় রাতের আধাঁরে যুবলীগ নেতাকে চোখ-মুখে বেঁধে মারধর

ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় রাতের আঁধারে মো. মিল্লাত (৪৫) নামের এক যুবলীগ নেতাকে চোখ-মুখ বেঁধে মারধর করার অভিযোগ ওঠেছে। এ সময় হামলাকারীরা তাঁর কাছ থেকে নগদ ৭১ হাজার টাকা ও দোকানের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত মো. মিল্লাত উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় পাটওয়ারী দোকান বাজারের মুদি ব্যবসায়ী। গত সোমবার (২৭ ফেব্রæয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় পাটওয়ারী দোকানের পশ্চিম পাশে ইসলামিয়া স্কুলের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত যুবলীগ নেতা মো. মিল্লাত বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহত মিল্লাতের মা তহমিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তাঁর ছেলে ছোট বেলা থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সে স্থানীয় পাটওয়ারী দোকান এলাকায় মুদি ব্যবসা করতেন। সেই সুবাদে বিবিএস ক্যাবলস এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার মিল্লাতের কাছে অসহায় মানুষকে দেয়ার জন্য কিছু কম্বল পাঠায়। সেই কম্বলগুলো স্থানীয় অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করে মিল্লাত। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কিছু ছাত্রলীগ নেতা তাকে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। তাই সে ভয়ে দোকানে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। সর্বশেষ সোমবার বিকেলে কোম্পানির থেকে মাল রাখার জন্য দোকানে যায়। দোকান থেকে রাত ১১টার দিকে বাড়িতে ফেরার সময় ইসলামিয়া স্কুলের সামনে আসলে ওই এলাকার ছাত্রলীগ নেতা রকি ও রিয়াজসহ ৫-৬জন মিলে একটি কাপর দিয়ে মিল্লাতের মুখ বেঁধে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করে। এতে মিল্লাতের মাথা ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন যায়গা ফুলে যায়। পরে তাঁর ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

মিল্লাতের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া অভিযোগ করে বলেন, তাঁর স্বামীকে হামলাকারীরা পিটিয়ে মাথায় রক্তাক্ত জখম করে। হামলার পর থেকে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রæয়ারী) দুপুর পর্যন্ত তাঁর জ্ঞান ফেরেনি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রকি ও রিয়াজকে একাদিকবার ফোন করেও তাদের ফোনে পাওয়া যায়নি।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এবং থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।

এই বিভাগের আরো খবর