
ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন উপজেলায় ফেসবুক পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে মো. মিল্লাত হোসেন নামের এক যুবককে পিটিয়ে মোবাইল ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠেছে ধলিগৌরনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. শাকিল খানের বিরুদ্ধে। আহত মিল্লাত হোসেন উপজেলার চরভুতা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের চর লেঙ্গুটিয়া গ্রামের মো. নুরে আলমের ছেলে ও ঢাকায় বিবিএস ক্যাবলস-এ ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করেন। সে বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আহত মিল্লাত অভিযোগ করে জানান, তিনি ছোট বেলা থেকেই আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত। তিনি ঢাকায় বিবিএস ক্যাবলস-এ চাকুরী করেন। সে সুবাদে তিনি বিবিএস ক্যাবলসের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নোমানকে নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তিনি ঢাকা থেকে ছুটিতে বাড়িতে আসেন। সন্ধ্যার দিকে তিনি স্থানীয় চতলা বাজারে গেলে সেখানে থাকা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. শাকিল, নিশাত আরিফসহ ১৫-২০জন ছাত্রলীগের কর্মীরা এে কোনো কিছু না বলেই পাইপ দিয়ে বেধম মারধর করেন। পরে তাকে ধরে বাজারে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে বসিয়ে রাখেন। এসময় তারা মিল্লাতের হাত-পা কেটে ফেলার হুমকি দেয় এবং তাঁর সাথে থাকা নগদ ৯০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন।
তিনি আরো জানান, যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতারা তাকে ঘর বের না হওয়ার হুমকি দেয়। পরে রাত ১১টার দিকে সে গোপনে ভোলা সদর হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়।
এখন হামলাকারীদের ভয়ে তিনি এলাকায়ও যেতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সভাপতি মো. শাকিল খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি রাতে ছোট বোনের জন্মদিনের পার্টি ছিলেন। সকালে ওই এলাকায় গিয়ে শুনতে পেয়েছেন যে মিল্লাত নামের এক যবুকের মোবাইল ফোন কে যেনো নিয়ে গেছে। তবে সেখানে কি হয়েছে সেটি তিনি জানে না।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, এরকম কোনো অভিযোগ নিয়ে থানায় কেউ যায়নি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।