খেলাধুলা

ভুটানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশের মেয়েরা

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ

ক্রীড়া ডেস্ক: বাংলাদেশ ভুটানকে ৫-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে উঠে গেছে ফাইনালমঞ্চে।

ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নাম লিখিয়ে প্রতিপক্ষের অপেক্ষায় ছিল নেপাল।

৯ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে নেপাল কার বিপক্ষে খেলবে তা নির্ভর করছিল বাংলাদেশ ও ভুটানের রাতের ম্যাচের ফলের ওপর। যে ম্যাচ ড্র করলেই ফাইনাল নিশ্চিত হতো বাংলাদেশের।

তবে ড্র নয়, বাংলাদেশ ভুটানকে ৫-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েই উঠে গেছে ফাইনালমঞ্চে। বাংলাদেশ ফাইনালে ওঠায় বিদায় নিশ্চিত হয় ভারতের। ৩ ম্যাচের দুটি জয় ও একটি ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকেই ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা। কমলাপুর স্টেডিয়াম ভুটানের জালে গোল উৎসব করে ফাইনালে ওঠা উদযাপন করেন শামসুন্নাহার-আকলিমারা।

বাংলাদেশের ৫ গোলে তিনটি করেছেন অধিনায়ক শামসুন্নাহার। দুটি করেছেন আকলিমা খাতুন। রিপা পেনাল্টি মিস না করলে গোলের ব্যবধান আরো বড় হতে পারতো স্বাগতিক মেয়েদের। প্রথম দুই ম্যাচে নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে একই একাদশ সাজিয়েছিলেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তবে ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি দুটি পরিবর্তন আনে একাদশে। সোহাগী কিসকু ও মাহফুজা খাতুনকে বাইরে রেখে একাদশে জায়গা দেন আইরিন খাতুন ও উন্নতি খাতুনকে।

৯ মিনিটে প্রথম ভুটানের রক্ষণে প্রথম হানা দেয় শামসুন্নাহাররা। সুযোগও পেয়েছিলেন আকলিমা খাতুন। ডি-বক্সে আকলিমা শট নিতে দেরি করলে বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন ভুটানিজ গোলরক্ষক সোনাম পেলদেন।

১৭ মিনিটে অধিনায়ক শামসুন্নাহার ডান দিক দিয়ে ভুটানের বক্সে ঢুকে যান। গোলরক্ষককে একাই পেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ভুটানের গোলরক্ষক একটু সামনে এগিয়ে এসে আটকে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ককে। ২২ মিনিটে অধিনায়ক শামসুন্নাহার বাম দিক দিয়ে ঢুকে ক্রস ফেলেছিলেন বক্সে। আকলিমা খাতুন বল ধরে একজনকে কাটিয়ে বল জালে জড়ান।

২৩ মিনিটে অধিনায়ক শামসুন্নাহার আবার বাম দিক দিয়ে বক্সে ঢুকতে তাকে ফেলে দেন ভুটানের ডিফেন্ডার তাশি। ফাউল বক্সের বাইরে হয়েছে বলে দাবি করে রেফারিকে ঘিরে ধরেন ভুটানের খেলোয়াড়রা। কিন্তু ভারতীয় রেফারি কুশুম মান্দি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। যদিও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশ ফরোয়ার্ড শাহেদা আক্তার রিপা। তার শট বাইরে চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে।

পেনাল্টি মিস করলেও ব্যবধান বাড়াতে বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশ। ২৯ মিনিটে উন্নতির কর্নার থেকে শামসুন্নাহারের হেডে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। ৩২ মিনিটে সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন আকলিমা। কিন্তু নিজের দ্বিতীয় গোলটি করতে পারেননি তিনি।

বাংলাদশেকে তৃতীয় গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ৫৩ মিনিট পর্যন্ত। শাহেদা আক্তার রিপার পাস ধরে অধিনায়ক শামসুন্নাহার দৌড়ে গিয়ে বক্সের মাথা থেকে যে শট নেন তা দ্বিতীয় পোস্টে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। তিন মিনিট পরই হ্যাটট্রিক হয়ে যেতে পারতো শামসুন্নাহারের। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও তিনি বল তুলে দেন ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে।

৬০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন আকলিমা খাতুন। পরের মিনিটেই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন অধিনায়ক শামসুন্নাহার। বাম দিক দিয়ে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষকের পাস দিয়ে বল জালে জড়ান। বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৫-০ ব্যবধানে।

৫ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ানোর আরো সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু আকলিমা, শামসুন্নাহার ও রিপারা সে সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় ৫-০ ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক মেয়েরা।

বাংলাদেশ ও ভুটান ম্যাচের আগে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ও ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button