
অনলাইন ডেস্ক:
২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের আগে সারাদেশে বিএনপির এক হাজার ৬৮০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ‘ধরপাকড়’ এবং কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত সচিব অরিন্দম বাগচীকে। এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না করে তিনি কূটনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রেখে বলেন, প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে নয়াদিল্লি কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) নয়াদিল্লিতে নিয়মিত সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র। দেশটির সংবাদমাধ্যম এএনআই-এর বরাতে দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে এমনটি উঠে এসেছে।
এ প্রসঙ্গে অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘আমরা অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ও নীতি নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। বাংলাদেশে নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।’
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত সচিব অরিন্দম বাগচী।
তবে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে ভারত এবং স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ঢাকার প্রতি নয়াদিল্লির সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
এর আগে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিপীড়ন-ধরপাকড় ইস্যুতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করে নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংগঠন। তবে বরাবরের মতো, এই অব্যাহত বৈশ্বিক চাপের বিপরীতে গিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সহমত জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

ছবি : সংগৃহীত
২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের আগের রাতে নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, কর্মসূচি ঘিরে সারাদেশে এক হাজার ৬৮০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া সমাবেশ ঘিরে আহত হয়েছেন ২ হাজার ১১০ জন। মামলায় আসামি করা হয়েছে ২৮ হাজার নেতাকর্মীকে।
ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে প্রতিবেশী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান রয়েছে ভারতের, এমন মন্তব্যও করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন দেশটির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।